শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ:
‘গত বছরের জুন পর্যন্ত মেট্রোরেলে আয় ১৮,২৮,০৬,৫১৪ টাকা’ বিজিবিকে স্মার্ট প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে’ ‘রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল দেয়া হবে’ ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে নজরদারি রাখবেন জেলা প্রশাসকরা’ ‘স্বাস্থ্য খাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে’ ফসলি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ‘পাট খাতের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে’
২৫৩

স্বপ্নের বাতিঘর ‘বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়’, ছড়াচ্ছে আলো

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২১  

সিলেট বিভাগজুড়ে অসংখ্য চা বাগান। আর এসব বাগানে অগণিত চা শ্রমিক। কিন্তু নানা দিক থেকে তারা এখনো অবহেলিত। শিক্ষা, চিকিৎসা, বেতন সব ক্ষেত্রেই প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার এসব চা শ্রমিক ও তাদের সন্তানরা। তাই তো তারা নিজেরাই উদ্যমী।

চা বাগানের দিক থেকে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা অনেকটা ভরপুর। পাহাড় বেষ্টিত চা বাগান অধ্যুষিত এ উপজেলায় বিভিন্ন উপজাতির বসবাস। এখানে সাঁওতাল, মুন্ডা, বাউরি, রায়, ব্যানার্জি, নাগপুরি, বাগদি, সবর সম্প্রদায়ের বসবাস। কিন্তু শিক্ষার দিক থেকে তারা অনেকটাই বঞ্চিত।

কিন্তু এ বঞ্চনা দূর করতে উদ্যোগ নেন কিছু তরুণ। মাত্র ১০০ টাকা করে অর্থতহবিল সংগ্রহ করে গড়ে তোলেন ‘বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়’। বিদ্যালয়টি এখন পেয়েছে নিজস্ব ভবন, জায়গা। পাচ্ছে বিভিন্ন বরাদ্দ। আর আলো ছড়াচ্ছে এলাকায়। তবে পায়নি এখনো বোর্ডের স্বীকৃতি।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া চা বাগানেরই কিছু তরুণ মিলে গড়ে তুলেছেন তাদের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানটি। জনপ্রতি মাত্র ১০০ টাকা করে অর্থতহবিল দিয়ে প্রথমে দুই লাখ টাকা অর্থ সংগ্রহ করে শুরু হয় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয়ে এখনো চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। শুরুতে কখনো খোলা আকাশের নিচে, কখনো বা কারো বারান্দায় চলছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।

বাগান থেকে উচ্চ বিদ্যালয় অনেক দূর, মাইলের পর মাইল হেঁটে অনেক ছেলে-মেয়েই পড়ালেখা করতে চায় না। আর সেকারণেই উদ্যমী প্রাণচঞ্চল এক ঝাঁক তরুণ এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন। তারাই শুরু করেন স্বপ্নের বাতিঘরের যাত্রা। পরবর্তীতে বাগান পঞ্চায়েতের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দান করেছেন একশ শতক জায়গা। সেই জায়গার উপর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নানান সময় দিয়েছেন বরাদ্দ। ফলে গড়ে উঠেছে স্কুলের নিজস্ব ভবন।

সম্প্রতি স্কুলটি ঘুরতে গিয়ে দেখা গেছে, একদল চা শ্রমিকদের কোমলমতি সন্তানেরা পাঠগ্রহণ করছে। এই বাগানের সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বিনা পারিশ্রমিকে নিরলস ও নির্মোহভাবে পাঠদান করে যাচ্ছেন।

চারিদিকে সবুজের সমারোহ। পাহাড় টিলা এবং চা বাগান। সে এক অপরূপ দৃশ্য। নীল আকাশের নিচে দিগন্তজুড়ে খোলা মাঠ। চা-বাগানের কোল ঘেঁষেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে- বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়। কী অপরূপ, কী অসাধারণ। মন ভুলিয়ে যাওয়ার মতো একটি স্থান। সেখানেই শ্রমিকরা অন্তরাত্মায় লালন করছেন বঙ্গবন্ধুকে, তার আদর্শকে। তাদের কষ্টার্জিত অর্থে গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানের নামকরণের মধ্য দিয়েই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার গভীরতা।

চা শ্রমিক অনিল বারইকে বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, আমাদের জন্য বঙ্গবন্ধুই একমাত্র আদর্শ। তাই পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে জানার, বোঝানোর এবং অনুধাবন করার চিন্তা থেকেই আমরা এই প্রতিষ্ঠানের নাম করেছি, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়।

জানা যায়, এই বিদ্যালয়ে প্রতি বছর নানান ধরনের অনুষ্ঠান হয়। এসব অনুষ্ঠানে চা শ্রমিকের সন্তানরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করে আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে। তাদের নিজের শৈশব স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উপজাতি সংস্কৃতি খুব সুন্দর করেই তারা লালন করছে এবং ধারণ করছে প্রতিনিয়ত।

প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক রনি গোয়ালা জানান, বর্তমানে পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চলছে। প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে।

তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি বোর্ড কর্তৃক পাঠদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক অনুমতি পায়নি। বিষয়টি তারা খুব একটা ভালো বোঝেন না তাই তারা শিক্ষা বোর্ডের আনুকূল্য আশা করছেন।

সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি দেখতে যান সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল হক। তিনি বলেন, এরকম একটি জায়গায়, এমন করে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা কষ্টকর ও কঠিন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মানবিক ও উপজাতীয় কোটায় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনা দরকার। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে যেকোনো পরামর্শে আমি তাদের পাশে থাকবো।

এদিকে যেসব শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করে তারা কেউ কোনো রকম অর্থ দেয় না। যে কারণে শিক্ষকরাও কোনোরকম সম্মানী গ্রহণ করতে পারেন না। বাগানের উচ্চশিক্ষিত, অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমরা চাই, এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারের দৃষ্টিতে আসুক। এক সময় এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাজ করবে। যেটা আমরা করছি।

অপরদিকে সচেতন মহল মনে করছে, শত প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ক্রমাগত সামনে এগিয়ে চলা স্বপ্নের বাতিঘর ‘বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়’ পিছিয়ে পড়া চা শ্রমিক সন্তানদের জীবনমান উন্নয়নে এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। এজন্য বিদ্যালয়টির প্রতি সবার সদয় দৃষ্টি প্রয়োজন।

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
  • ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি’

  • পণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম

  • চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর 

  • ‘জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে’

  • ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাস

  • উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী

  • কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর

  • আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার

  • ‘ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন’

  • বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু

  • ‘বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়’

  • এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • লেবাননে ইসরাইলের হামলায় ৮ হিজবুল্লাহ নেতা নিহত

  • ইসরাইলি গণহত্যা নিয়ে প্রতিবেদন করে হুমকির মুখে জাতিসংঘ কর্মকর্তা

  • মস্কো হামলায় এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ: রিপোর্ট

  • বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন

  • সোমালিয়ায় জিম্মি জাহাজ উদ্ধার নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করবেন আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট

  • নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

  • শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা

  • ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • পদ্মা সেতু দেখে মুগ্ধ ভুটান রাজা

  • ঢাকায় দুদিনের সফরে আসছেন কাতারের আমির

  • শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ

  • অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা

  • বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার

  • ভুটানের রাজার সফর
    কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা

  • নারায়ণগঞ্জে ইকোনোমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা

  • স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

  • ‘সাড়ে আট হাজার ডাকঘর `স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে` রূপান্তরিত হবে’

  • টিসিবি কার্ডে জালিয়াতি ঠেকাতে আসছে স্মার্ট কার্ড

  • শহরে বস্তিবাসী বেশি বরিশাল ও ময়মনসিংহের

  • উত্তরাঞ্চলে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার

  • ‘সরকার গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করতে কাজ করছে’

  • সুন্দরবনে গাছের প্রজাতি নির্ণয়ে জরিপ শুরু

  • নারায়ণগঞ্জে ইকোনোমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা

  • ৪৫ হাজার সোলার সেচ পাম্প স্থাপন করা হবে : নসরুল হামিদ

  • শান্তিপূর্ণ উপায়েই এগোতে চায় বাংলাদেশ

  • ২৫ মার্চ রাতে সারাদেশে ১ মিনিট ব্ল্যাক আউট

  • বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের আহ্বান অর্থ প্রতিমন্ত্রীর

  • কমোডিটি এক্সচেঞ্জে বদলে যাবে শিল্প বাণিজ্য

  • পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউএন ওমেনের প্রতিনিধি

  • এবার ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫, সর্বোচ্চ ২৯৭০ টাকা

  • এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : ঢাকাবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার

  • চট্টগ্রামে ২ দিনব্যাপী ইনোভেশন শো-কেসিং শুরু

  • সোমবার ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

  • স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রির চিন্তা

  • ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

  • রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

  • জেনোসাইড ১৯৭১’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়ে সেমিনার শনিবার

  • ‘স্মার্ট বাংলাদেশের ন্যায় স্মার্ট ট্যুরিজম গড়ে তোলা হবে’

  • বাংলাদেশি শিক্ষকদের ফেলোশিপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

  • আরও সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত হচ্ছেন

  • ‘জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজ গঠনে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে’

  • অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিন নয়

  • ভুটানের রাজার সফর
    কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা

  • ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক

  • সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিতের নির্দেশ পলকের

  • বাংলাদেশ সরাসরি চীনের সঙ্গে লেনদেনে যাচ্ছে