মনের দুঃখে বনে যাই: একদিনে দেবতাখুম ভ্রমণ
মনের দুঃখে নাকি বনে যেতে হয়। মন খারাপ থাকলে এমন একটা জায়গায় যেতে ইচ্ছে করে যেখানে থাকবে নিবিড় প্রকৃতির ছোঁয়া, থাকবে না কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং সেটা অবশ্যই হতে হবে একদিনের ভ্রমণ।
হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে নাকি অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। সেই থিওরিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বান্দরবনের রোয়াংছড়ি উপজেলার গহীনে দেবতাখুম।
মতিঝিল এলাকার আরামবাগ থেকে রাত ১১টা ৩০ মিনি বাসে উঠলে এবং সকাল ৭টায় বান্দরবান পৌঁছাবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে আগেই গাইড ও সিএনজি ঠিক করে রাখতে পারেন। সারা দিনের জন্য যাওয়া-আসাসহ সিএনজি রিজার্ভ ২০০০ টাকা ও গাইড ১০০০ টাকা। বান্দরবান থেকে দেবতাখুম যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে রোয়াংছড়ি থানায়। সেখানে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। এরপর রোয়াংছড়ি থেকে যেতে হবে কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্পে। সেখান থেকে আবার আর্মির অনুমতি নিতে হবে। তবে গাইড এসব কাজকর্ম ঝটপট করে ফেলে। শুধু ট্রাভেলারদের তাদের সাথে সাথে থাকতে হবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের দুইটি ফটোকপি জমা দিতে হয়। বান্দরবান শহর থেকে রোয়াংছড়ির দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলী ৫-৬ কিলোমিটার।
স্কুলের ক্লাসের ভালো ছাত্রের মতো আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করার পর শুরু হয় দেবতাখুমের উদ্দেশে ট্রেকিং। এটি মোটামুটি মধ্যম মানের একটি ট্রেকিং রুট। কচ্ছপতলী থেকে দেবতাখুম পৌঁছতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টার মতো। পাহাড়, বন ও ঝিরির পাশ দিয়ে ট্রেকিং করার মুহূর্তগুলো মনে একেবারে দাগ কেটে গেছে। ঝিরি পার হতে হয়েছে কয়েকবার। কখনো চড়াই বেয়ে উঠতে হোবে তো কখনও উতরাই বেয়ে নামতে হবে। এক সময় পৌঁছে যাই শীলবান্ধা পাড়ায়। এখান থেকে তাকালে নৌকা ঘাটের টিকিট কাউন্টার চোখে পড়ে। পাড়া থেকে হেঁটে নৌকা ঘাট পর্যন্ত যেতে লাগে সাত থেকে আট মিনিট। হেঁটে যাওয়ার সময় পাশে পড়ে এক সুন্দর মনমাতানো ভ্যালি। শীলবান্ধা পাড়ার পাশে শীলবান্ধা ঝর্ণা নামে একটি ঝর্ণা আছে; যদিও আকারে খুব ছোট এবং শীতকালে পানি খুবই কম থাকে।
দেবতাখুমের ভিতরে ঘুরে দেখার জন্য নৌকা ও ভেলার ব্যবস্থা রয়েছে। জনপ্রতি ১৫০ টাকায় লাইফ জ্যাকেটসহ এ সুবিধা পাওয়া যায়। প্রতিটি ভেলায় একজন এবং নৌকায় সর্বোচ্চ দশজন উঠা যায়। খুমের ভিতরে গভীরতা ৫০ থেকে ৭০ ফিট ও দৈর্ঘ্যে ৬০০ ফিট। এটি বান্দরবানের আরেক জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান ভেলাখুম থেকে অনেক বড় এবং অনেক বেশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। পাহাড়ে ট্রেকিং সব সময়ই রোমাঞ্চকর। আর সেটা যদি হয় পাহাড়ি ঝিরিপথে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে; তবে সেটা নিঃসন্দেহে দেবে এক স্বর্গীয় অনাবিল সুখ। মনে হবে দুঃখ-কষ্ট, বেদনা কিংবা ক্লান্তি বলতে কিছুই নেই।
উল্লেখ্য, সারা বছর দেবতাখুম যাওয়া গেলেও ভরা বর্ষায় অনেক সময় ঝিরি ও খুমে পানি অতিরিক্ত বেড়ে যায় এবং সেক্ষেত্রে আর্মি যাওয়ার অনুমতি দেয় না। অন্যদিকে শীতের শেষ থেকে গ্রীষ্মের শুরু পর্যন্ত পানি অনেক কমে যায়। তখন দেবতাখুম ভালো নাও লাগতে পারে। এসব হিসাব বিচার-বিবেচনায় দেবতাখুম ঘুরার আদর্শ সময় হলো সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেবতাখুম যেতে চাইলে এ সময়ের মধ্যেই ভ্রমণ পরিকল্পনা করা ভালো।
- সিগারেটের শুরু কোথায় ও কীভাবে?
- জিম ছাড়াই আকর্ষণীয় ‘বডি’ বানাতে পারবেন
- একদিনে ব্রণের সমস্যা দূর করার উপায়
- খাঁটি তেল চেনার কয়েকটি উপায়
- জেনে নিন, ডাম্বেল নিয়ে সহজে ব্যায়ামের নিয়ম
- ওজন কমাতে ও এনার্জি বাড়াতে পান করুন ‘লাবান’
- মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি রাঁধতে চান?
- গহনার যত্ন নেয়ার উপায়!
- ঢাকার কাছেই ঘুরে আসুন হলুদের রাজ্যে
- জন্ডিস হলে যেসব খাবার খাবেন
- রোজ সেদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- রক্তের গ্রুপ থেকেই জেনে নিন কার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন!
- এক মিনিটেই শান্তির ঘুম আনার কৌশল!
- যে বদ-অভ্যাসগুলো ভালোবাসার সম্পর্কের জন্য ভালো!
- নারী সঙ্গী বেইমানি করছে কিনা বুঝবেন চার আচরণে
‘স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি’
‘জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে’
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাস
উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
ইসরাইলি গণহত্যা নিয়ে প্রতিবেদন করে হুমকির মুখে জাতিসংঘ কর্মকর্তা
সোমালিয়ায় জিম্মি জাহাজ উদ্ধার নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করবেন আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
‘সাড়ে আট হাজার ডাকঘর `স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে` রূপান্তরিত হবে’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউএন ওমেনের প্রতিনিধি
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : ঢাকাবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
‘জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজ গঠনে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে’