বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ:
‘গত বছরের জুন পর্যন্ত মেট্রোরেলে আয় ১৮,২৮,০৬,৫১৪ টাকা’ বিজিবিকে স্মার্ট প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে’ ‘রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল দেয়া হবে’ ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে নজরদারি রাখবেন জেলা প্রশাসকরা’ ‘স্বাস্থ্য খাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে’ ফসলি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ‘পাট খাতের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে’
৩২০

দেশে আমনের বাম্পার ফলন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৯  

দেশে আবারো আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। পুরো দেশের তথ্য সংগ্রহ করে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু কৃষকের শঙ্কা কাটেনি।

কারণ ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে তারা সংশয়ে রয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রতি মণ ধান উৎপাদনে ৭৫০-৮০০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু হাট-বাজারে প্রতি মণের বিক্রয় মূল্য ৬০০ থেকে ৬৭৫ টাকা। ফলে প্রতি মণে লোকসান হবে ১৫০-২০০ টাকা। এ হিসাবে প্রতিবিঘায় গড়ে ২৫ মণ ধান উৎপাদন হলে লোকসান গুনতে হবে ৪ হাজার টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে ৫৮ লাখ ৭৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক কোটি ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার টন। কিন্তু অধিদফতরের তথ্যমতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও বেশি হবে। সব জেলায় ধান কাটা শেষ হলে আসল চিত্র তুলে ধরা যাবে।

জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডী দাস কুন্ডু বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী এবার আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি হবে। তবে এখন পর্যন্ত দেশের সব স্থানে ধান কাটা শুরু হয়নি। শেষ হতেও আরও কয়েক দিন লাগবে। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কত বেশি উৎপাদন হবে, এটা বলা মুশকিল। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশি হবে এটা বলা যায়।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উপকূলে ঝড়ের কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা সার্বিকভাবে চিন্তা করলে এক শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। যার কারণে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর গ্রামের কৃষক রিগেন্দ্রনাথ রায় জানান, এক বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করতে বীজতলা, চাষ, সার, কীটনাশক, কাটাই-মাড়াইসহ সব মিলিয়ে ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

জমির অন্যান্য খরচসহ মোট খরচ হয়েছে ২০ হাজার থেকে ২১ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ২৫ মণ ধান উৎপাদন হয়। প্রতি মণ ধান উৎপাদনে ৭৫০-৮০০ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বাজারে সেই ধান বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা আছে ৬০০ থেকে ৬৭৫ টাকায়। এতে এক বিঘা জমির ধান বাজারে বিক্রি করলে উৎপাদন খরচ উঠবে না। বরং চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে।

তিনি বলেন, ‘ধানচাষ করে এখন লাভ হচ্ছে না। বাম্পার ফলনের পরও একরকম টানাটানির মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। ধারদেনা বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ধান উৎপাদন করে ঋণের টাকাও শোধ করতে পারছি না।’

একই গ্রামের প্রান্তিক কৃষক জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘আগাম ধান লাগাইছি লাভের আশায়। কিন্তু নতুন ধান বাজারে নিয়ে গিয়ে দেখি লাভ তো দূরের কথা আসলই ওঠে না। এবার আমন মৌসুমে বর্গা নেয়া ২ বিঘা জমিতে আগাম জাতের কটরা পারি ধান আবাদ করেছি। ২ বিঘা জমিতে আবাদ করতে হালচাষ, বীজতলা, নিড়ানি, সার, কীটনাশক, ধান কাটা ও মাড়াইসহ সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ধান পেয়েছি প্রায় ৪০ মণ।

বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি করেছি ৫১০ টাকা। এতে দুই বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করে প্রায় ৫ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।’ একই কথা জানান, পার্শ্ববর্তী হাসিলা গ্রামের কৃষক মো. সোহরাব হোসেন।

দেশে আমন উৎপাদনের শীর্ষ জেলা হচ্ছে রাজশাহী, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও দিনাজপুর। উঁচু-নিচু লালমাটির এ পাঁচ জেলায় এবারও আমনের ভালো ফলন হয়েছে। বিস্তীর্ণ আমন খেতে এখন সোনালি ধানের সমারোহ।

আগামী সপ্তাহ থেকেই এই জেলাগুলোতে শুরু হবে আমন সংগ্রহের কাজ। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের কৃষক এনামুল শেখ বলেন, ‘দুই বছর আগে প্রতিমণ ধানের দাম ছিল ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। এতে কৃষক লাভবান হয়েছেন। কিন্তু গত বছর তারা মণপ্রতি দাম পেয়েছেন মাত্র ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা। এ বছরও একই দাম আছে। তাই মনে হচ্ছে এবারও প্রতি বিঘায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে ক্ষতির শিকার হতে হবে।

এভাবে ক্ষতির মুখে পড়লে কীভাবে চলব ভেবে পাচ্ছি না।’ চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মানিক শেখ জানান, আমন কাটাই-মাড়াই শুরুর পর অটো রাইস মিল মালিকরাই ধানের দাম নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা ধানের দাম কমানোর জন্য ধান ওঠার পর সিন্ডিকেট করে দুই সপ্তাহ কোনো ধান কেনেন না। ফলে এমনিতেই ধানের দাম পড়ে যায়। ঠিক দাম পড়ে যাওয়ার সময় তারা ধান কিনে গুদাম ভরে রাখেন।

ওই ধান দিয়েই তারা সারা বছর চাল তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করেন। তার মতে, সরকার ধান কিনলেও প্রকৃত কৃষকরা ফড়িয়া দালালদের চাপে গুদামে ধান দিতে পারেন না। ফলে প্রকৃত কৃষকের কোনো লাভ হয় না। জানাতে চাইলে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘সব সময় কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতে হবে। তা না হলে দীর্ঘমেয়াদে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। সরকার ঘোষণা দিয়েছে এবার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান কিনবে।

এটা যাতে যথাযথ উপায়ে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।’ জানা যায়, চলতি বছরের আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকের কাছে ২৬ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান কিনবে সরকার। এ ছাড়া মিলারদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে তিন লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা আগামী ২০ নভেম্বর থেকে ধান ও ১ ডিসেম্বর থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হয়ে তা চলবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আনু মোস্তফা ও দিনাজপুর প্রতিনিধি একরাম তালুকদার।

আরও পড়ুন
দেশের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
  • ‘জলাবদ্ধতা দূর করতে বারইপাড়া খাল খনন শেষ করতে হবে’

  • ‘বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট শিগগির গিনেস বুকে উঠবে’

  • ‘যারা মুক্তিযুদ্ধ মানেনা তারা স্বাধীন দেশকেও মানে না’

  • সশস্ত্র অবৈধ কোনো সংগঠন থাকবে না : র‌্যাব মহাপরিচালক

  • কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি : স্পিকার 

  • ডেঙ্গু প্রতিরোধের কর্মসূচি নিয়ে ২২ এপ্রিল মাঠে নামছে ডিএনসিসি

  • আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য শক্তি সংস্থার অধিবেশনে সংসদীয় প্রতিনিধিদল

  • তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলার ভোটগ্রহণ ২৯ মে

  • ‘বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে’

  • মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর

  • মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ

  • বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই

  • ভারত প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন পঞ্চাশ বিচারক

  • অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

  • বিমানের জরুরি অবতরণ; বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী

  • মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

  • ঝালকাঠিতে মাইক্রোবাস-অটোরিকশা নিয়ে খাদে ট্রাক, নিহত ১১

  • ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল

  • ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেবে ইসরাইল, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

  • মধ্যপ্রাচ্যে হামলা ঠেকাতে কত ডলার গেল যুক্তরাষ্ট্রের

  • ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ

  • যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় মুক্তি পাচ্ছে ‘রাজকুমার’

  • যৌনকর্মীদের নিয়ে ‘নীলপদ্ম’, প্রিমিয়ার হচ্ছে নিউইয়র্কে

  • ফিটনেস নবায়নে ৭ ধরনের গাড়িতে দিতে হবে না অগ্রিম কর

  • বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ৯

  • ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ৩২ দেশকে ইসরায়েলের চিঠি

  • ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দর ইতিহাসের সর্বনিম্ন

  • নেতানিয়াহু এ যুগের হিটলার: কাদের

  • পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ১২ সদস্য

  • নিউইয়র্কে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

  • ঈদুল ফিতরের নামাজে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া

  • ৬ দিন পর হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

  • সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন : প্রধানমন্ত্রী

  • ইসরায়েলের হামলায় হামাস প্রধানের তিন ছেলে নিহত

  • ঈদের জামাত ঘিরে নিরাপত্তা হুমকি নেই : র‌্যাব ডিজি

  • বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ৯

  • জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি

  • পদ্মা সেতুতে একদিনে প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড 

  • ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী

  • ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানী

  • আ.লীগের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ওবায়দুল কাদেরের

  • দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

  • জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিকদের উদ্ধারে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • এক হ্যাটট্রিকে র‍্যাংকিংয়ে ৪৮ ধাপ এগোলেন বাংলাদেশি পেসার

  • সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঢাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত

  • এবারের ঈদযাত্রাকে স্বস্তিদায়ক বললেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান

  • ঈদের পর ট্রেনের চাকা ঘুরতে পারে খুলনা-মোংলা রেললাইনে

  • চাঁদপুরে অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন

  • ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হচ্ছে এনবিএল

  • গিনেজ বুকে নাম লেখাতে মিঠামইনে শুরু ‘আল্পনায় বৈশাখ-১৪৩১’

  • ঢাকার সড়ক প্রায় ফাঁকা, গণপরিবহন কম

  • রাশিয়াতে তৈরি পোশাক-পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে চায় সরকার

  • জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন রাষ্ট্রপতি

  • বৈশাখে জড়িয়ে আমাদের আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা : রাষ্ট্রপতি

  • দুই মাস পর মধ্যপাড়া খনি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু

  • কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

  • ঢাকায় পাহাড়ি ঐতিহ্যের ‘বৈসাবি উৎসব’ পালিত

  • আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি : প্রধানমন্ত্রী

  • ‘জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে নতুন বছর’