শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ:
‘গত বছরের জুন পর্যন্ত মেট্রোরেলে আয় ১৮,২৮,০৬,৫১৪ টাকা’ বিজিবিকে স্মার্ট প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে’ ‘রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল দেয়া হবে’ ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে নজরদারি রাখবেন জেলা প্রশাসকরা’ ‘স্বাস্থ্য খাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে’ ফসলি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ‘পাট খাতের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে’
৩৭৭

‘করোনার এই আঁধার কেটে সুদিন আসবেই’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২০  

অন্ধকারে পথিক আলো খোঁজে। গবেষকেরা খোঁজে চলেছে ভ্যাকসিন। আমরা অন্ধকার সময় পার করছি। আর এই সময়ে ভ্যাকসিন হলো আলোর দিশারি। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অলিখিত একটা যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের সমাপ্তি হবে একমাত্র ভ্যাকসিন বা ওষুধের মাধ্যমে। গবেষকেরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ। বলা চলে তারা অনেকটাই সফল। সেপ্টেম্বর নাগাদ হয়তো ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। কিন্তু তার আগেই ওষুধ পেয়ে গেছি।

আমেরিকান বিখ্যাত চিকিৎসক ডা. ফাউসি রেমডেসিভির নামে ইভোলা ভাইরাসের ওষুধ বাজারজাত করার জন্য উৎপাদককে অনুরোধ করেছেন। আমেরিকার ফুড, ড্রাগ প্রশাসন করোনাভাইরাস রোধে রেমডেসিভির নামের এই ওষুধ বাজারজাত করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, আমেরিকাসহ ২২টি দেশে ১ হাজার ৬৩ জনের ওপর ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে উঠছে অনেক রোগী। এ মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশ হল আমেরিকা এবং মৃতের সংখ্যাও এই দেশে সবচেয়ে বেশি।

অনেক পরিবার বিপর্যস্ত। বিশেষ করে যে পরিবারে কর্তা ছিলেন একমাত্র কর্মজীবী। সন্তান তাদের বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা, অর্থনৈতিকভাবে, মানসিকভাবে।

অনেক পরিবার হারিয়েছে তাদের মাকে। মা হল ঘরের প্রদীপ। মা নেই যে গৃহে, সে তো অন্ধকার বলা চলে। এ প্রদীপ আর জ্বলবে না সন্তানদের জীবনে। সন্তানেরা এখন ছন্নছাড়া।

মৃত্যুর কোন সিরিয়াল নেই। কম বয়সীরাও মারা যাচ্ছে। যেভাবে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, লাশের স্তূপ হচ্ছে ফিউনারেল হোমে, তাতে হতাশ হয়ে পড়ছে আমেরিকার মানুষ। সেই হতাশার মধ্যে রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি নিয়ে এলেন আশার এক টুকরো আলো। এটা প্রাথমিক প্রচেষ্টা।

রেমডেসিভির ওপর নির্ভর করে থাকবে না গবেষকেরা। তারা গবেষণা চালিয়ে যাবে। নতুন অন্য কোন ওষুধ যথাসম্ভব চেষ্টা করছে বাজারে আনতে।

তবে এই মুহূর্তে এটাই হবে একমাত্র ওষুধ। এর মধ্য থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাবে। অন্য আরও কী কী ওষুধ প্রয়োগে করে করোনা থেকে মুক্ত হওয়া যায়, তা জানার জন্য গবেষণা অব্যাহত থাকবে। রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে এইচআইভির ওষুধ উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। মানুষও এখন ভরসা পাচ্ছে তার কথায়।’

করোনাভাইরাস আমাদের এমন একটা জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যে, আমরা চাইলে আর আগের মতো চলতে পারছি না। সুস্থ আছি, কিন্তু জীবন এনজয় করতে পারছি না। মানুষ বিপদে আছে কিন্তু এগিয়ে যেতে পারছি না, দূর থেকেই সহযোগিতা করতে হয়। অনেকের হাতে অর্থ আছে, কিন্তু বাসায় খাদ্য নেই।

এ এক কঠিন সময়। এমন পরিস্থিতির জন্য অনেকটা আমরা যে দায়ী না, তা ও নয়। বিল গেটস দীর্ঘদিন থেকেই বলে আসছেন, যদি কোন মহামারি আসে পৃথিবীতে তাহলে আমাদের কি প্রস্তুতি আছে তা মোকাবিলা করার? আমরা কি প্রস্তুত আছি? ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রায় শত বছর পর পর এই ধরনের মহামারি ফিরে ফিরে আসে পৃথিবীতে। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, আমরা দেখেছি ইবোলা, সোয়াইন ফ্লু, সার্স। করোনা তাদের বংশধরের একটা ভাইরাস। তবে অন্য ভাইরাসের থেকে একটু ভয়ংকর বেশি। এর সবচেয়ে খারাপ দিক হল আক্রান্ত রোগী অনেক সময় নিজেও জানে না, সে আক্রান্ত। এবার করোনাভাইরাসের সেই তাণ্ডব দেখছি আমরা।

গবেষকেরা বলছে, করোনাভাইরাসের রেশ থেকে যাবে দীর্ঘদিন। এরা জিন পরিবর্তন করে। ফলে বিভিন্ন তাপমাত্রার সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলে। সামনে আসছে সামার, হয়তো প্রকৃতিগতভাবেই এর প্রভাব কমে আসবে। কিন্তু নির্মূল হবে না। আবার ফিরে আসতে পারে। তবে দ্বিতীয়বার ফিরে আসলে এর পরিণাম হবে আগের চেয়ে বেশি। ফলে মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। তবে ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা করেই মানুষ স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে ভাইরাস থেকে বাঁচার। তাই করোনার প্রকোপ কমে এলেও মানুষ এখনো ঘরবন্দী থাকছে। অপেক্ষা করছে ভ্যাকসিনের। আর ভ্যাকসিন ছাড়া পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে একমাত্র ভালো দিক। চীন ইতিমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ইতালিতে ও কমেছে ভাইরাসের প্রভাব। আর আমেরিকা তো ওষুধ আপাতত পেয়েছে বলা যায়। ঘোর অন্ধকার থেকে আবছায়া আলোতে ফিরছে সময়।

মানুষও যান্ত্রিক জীবনযাপন করছিল। ছুটছিল অজানা কোন মোহে। অজানা গন্তব্যে। ভুলে গিয়েছিল পাশাপাশি থাকা মানুষের কথা, সময় নেই, অপ্রতিরোধ্য এই বেহিসাবি জীবনকে থামিয়ে দিয়েছে ভাইরাস। এখন মানুষ আপনজন হারানো অজানা ভয়ে কাঁপছে। সবকিছুর বিনিময়ে হলেও চাইছে প্রিয় মানুষ পাশে থাকুক। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে এসে বলছে, যেন দ্বিতীয় জীবন ফির পেলাম। এ যেন এক অন্য জীবন, আবার নতুন করে শুরু করবে জীবন এমনি অঙ্গীকার তাদের। সময় যেন থমকে দাঁড়িয়েছিল। এখন আবার হাঁটতে শুরু করেছে।

আমরা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছি। খুব বেশি দিন দূরে নয় আবার ছুটে চলব আগের মতো।
আপাতত রেমডেসিভির ওষুধ পেয়েছি, অপেক্ষা ভ্যাকসিনের। এ আঁধার কেটে যাবে শিগগিরই, দেখা পাব আলোর এই প্রত্যাশা।

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
  • ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি’

  • পণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম

  • চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর 

  • ‘জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে’

  • ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাস

  • উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী

  • কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর

  • আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার

  • ‘ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন’

  • বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু

  • ‘বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়’

  • এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • লেবাননে ইসরাইলের হামলায় ৮ হিজবুল্লাহ নেতা নিহত

  • ইসরাইলি গণহত্যা নিয়ে প্রতিবেদন করে হুমকির মুখে জাতিসংঘ কর্মকর্তা

  • মস্কো হামলায় এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ: রিপোর্ট

  • বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন

  • সোমালিয়ায় জিম্মি জাহাজ উদ্ধার নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করবেন আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট

  • নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

  • শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা

  • ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • পদ্মা সেতু দেখে মুগ্ধ ভুটান রাজা

  • ঢাকায় দুদিনের সফরে আসছেন কাতারের আমির

  • শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ

  • অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা

  • বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার

  • ভুটানের রাজার সফর
    কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা

  • নারায়ণগঞ্জে ইকোনোমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা

  • স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

  • ‘সাড়ে আট হাজার ডাকঘর `স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে` রূপান্তরিত হবে’

  • টিসিবি কার্ডে জালিয়াতি ঠেকাতে আসছে স্মার্ট কার্ড

  • শহরে বস্তিবাসী বেশি বরিশাল ও ময়মনসিংহের

  • উত্তরাঞ্চলে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার

  • ‘সরকার গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করতে কাজ করছে’

  • সুন্দরবনে গাছের প্রজাতি নির্ণয়ে জরিপ শুরু

  • নারায়ণগঞ্জে ইকোনোমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা

  • ৪৫ হাজার সোলার সেচ পাম্প স্থাপন করা হবে : নসরুল হামিদ

  • শান্তিপূর্ণ উপায়েই এগোতে চায় বাংলাদেশ

  • ২৫ মার্চ রাতে সারাদেশে ১ মিনিট ব্ল্যাক আউট

  • বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের আহ্বান অর্থ প্রতিমন্ত্রীর

  • কমোডিটি এক্সচেঞ্জে বদলে যাবে শিল্প বাণিজ্য

  • পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউএন ওমেনের প্রতিনিধি

  • এবার ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫, সর্বোচ্চ ২৯৭০ টাকা

  • এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : ঢাকাবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার

  • চট্টগ্রামে ২ দিনব্যাপী ইনোভেশন শো-কেসিং শুরু

  • সোমবার ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

  • স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রির চিন্তা

  • ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

  • রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

  • জেনোসাইড ১৯৭১’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়ে সেমিনার শনিবার

  • ‘স্মার্ট বাংলাদেশের ন্যায় স্মার্ট ট্যুরিজম গড়ে তোলা হবে’

  • বাংলাদেশি শিক্ষকদের ফেলোশিপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

  • আরও সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত হচ্ছেন

  • ‘জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজ গঠনে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে’

  • অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিন নয়

  • ভুটানের রাজার সফর
    কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা

  • ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক

  • সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিতের নির্দেশ পলকের

  • বাংলাদেশ সরাসরি চীনের সঙ্গে লেনদেনে যাচ্ছে