‘করোনার এই আঁধার কেটে সুদিন আসবেই’
নিউজ ডেস্ক
অন্ধকারে পথিক আলো খোঁজে। গবেষকেরা খোঁজে চলেছে ভ্যাকসিন। আমরা অন্ধকার সময় পার করছি। আর এই সময়ে ভ্যাকসিন হলো আলোর দিশারি। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অলিখিত একটা যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের সমাপ্তি হবে একমাত্র ভ্যাকসিন বা ওষুধের মাধ্যমে। গবেষকেরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ। বলা চলে তারা অনেকটাই সফল। সেপ্টেম্বর নাগাদ হয়তো ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। কিন্তু তার আগেই ওষুধ পেয়ে গেছি।
আমেরিকান বিখ্যাত চিকিৎসক ডা. ফাউসি রেমডেসিভির নামে ইভোলা ভাইরাসের ওষুধ বাজারজাত করার জন্য উৎপাদককে অনুরোধ করেছেন। আমেরিকার ফুড, ড্রাগ প্রশাসন করোনাভাইরাস রোধে রেমডেসিভির নামের এই ওষুধ বাজারজাত করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, আমেরিকাসহ ২২টি দেশে ১ হাজার ৬৩ জনের ওপর ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে উঠছে অনেক রোগী। এ মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশ হল আমেরিকা এবং মৃতের সংখ্যাও এই দেশে সবচেয়ে বেশি।
অনেক পরিবার বিপর্যস্ত। বিশেষ করে যে পরিবারে কর্তা ছিলেন একমাত্র কর্মজীবী। সন্তান তাদের বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা, অর্থনৈতিকভাবে, মানসিকভাবে।
অনেক পরিবার হারিয়েছে তাদের মাকে। মা হল ঘরের প্রদীপ। মা নেই যে গৃহে, সে তো অন্ধকার বলা চলে। এ প্রদীপ আর জ্বলবে না সন্তানদের জীবনে। সন্তানেরা এখন ছন্নছাড়া।
মৃত্যুর কোন সিরিয়াল নেই। কম বয়সীরাও মারা যাচ্ছে। যেভাবে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, লাশের স্তূপ হচ্ছে ফিউনারেল হোমে, তাতে হতাশ হয়ে পড়ছে আমেরিকার মানুষ। সেই হতাশার মধ্যে রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি নিয়ে এলেন আশার এক টুকরো আলো। এটা প্রাথমিক প্রচেষ্টা।
রেমডেসিভির ওপর নির্ভর করে থাকবে না গবেষকেরা। তারা গবেষণা চালিয়ে যাবে। নতুন অন্য কোন ওষুধ যথাসম্ভব চেষ্টা করছে বাজারে আনতে।
তবে এই মুহূর্তে এটাই হবে একমাত্র ওষুধ। এর মধ্য থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাবে। অন্য আরও কী কী ওষুধ প্রয়োগে করে করোনা থেকে মুক্ত হওয়া যায়, তা জানার জন্য গবেষণা অব্যাহত থাকবে। রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে এইচআইভির ওষুধ উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। মানুষও এখন ভরসা পাচ্ছে তার কথায়।’
করোনাভাইরাস আমাদের এমন একটা জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যে, আমরা চাইলে আর আগের মতো চলতে পারছি না। সুস্থ আছি, কিন্তু জীবন এনজয় করতে পারছি না। মানুষ বিপদে আছে কিন্তু এগিয়ে যেতে পারছি না, দূর থেকেই সহযোগিতা করতে হয়। অনেকের হাতে অর্থ আছে, কিন্তু বাসায় খাদ্য নেই।
এ এক কঠিন সময়। এমন পরিস্থিতির জন্য অনেকটা আমরা যে দায়ী না, তা ও নয়। বিল গেটস দীর্ঘদিন থেকেই বলে আসছেন, যদি কোন মহামারি আসে পৃথিবীতে তাহলে আমাদের কি প্রস্তুতি আছে তা মোকাবিলা করার? আমরা কি প্রস্তুত আছি? ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রায় শত বছর পর পর এই ধরনের মহামারি ফিরে ফিরে আসে পৃথিবীতে। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, আমরা দেখেছি ইবোলা, সোয়াইন ফ্লু, সার্স। করোনা তাদের বংশধরের একটা ভাইরাস। তবে অন্য ভাইরাসের থেকে একটু ভয়ংকর বেশি। এর সবচেয়ে খারাপ দিক হল আক্রান্ত রোগী অনেক সময় নিজেও জানে না, সে আক্রান্ত। এবার করোনাভাইরাসের সেই তাণ্ডব দেখছি আমরা।
গবেষকেরা বলছে, করোনাভাইরাসের রেশ থেকে যাবে দীর্ঘদিন। এরা জিন পরিবর্তন করে। ফলে বিভিন্ন তাপমাত্রার সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলে। সামনে আসছে সামার, হয়তো প্রকৃতিগতভাবেই এর প্রভাব কমে আসবে। কিন্তু নির্মূল হবে না। আবার ফিরে আসতে পারে। তবে দ্বিতীয়বার ফিরে আসলে এর পরিণাম হবে আগের চেয়ে বেশি। ফলে মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। তবে ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা করেই মানুষ স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে ভাইরাস থেকে বাঁচার। তাই করোনার প্রকোপ কমে এলেও মানুষ এখনো ঘরবন্দী থাকছে। অপেক্ষা করছে ভ্যাকসিনের। আর ভ্যাকসিন ছাড়া পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে একমাত্র ভালো দিক। চীন ইতিমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ইতালিতে ও কমেছে ভাইরাসের প্রভাব। আর আমেরিকা তো ওষুধ আপাতত পেয়েছে বলা যায়। ঘোর অন্ধকার থেকে আবছায়া আলোতে ফিরছে সময়।
মানুষও যান্ত্রিক জীবনযাপন করছিল। ছুটছিল অজানা কোন মোহে। অজানা গন্তব্যে। ভুলে গিয়েছিল পাশাপাশি থাকা মানুষের কথা, সময় নেই, অপ্রতিরোধ্য এই বেহিসাবি জীবনকে থামিয়ে দিয়েছে ভাইরাস। এখন মানুষ আপনজন হারানো অজানা ভয়ে কাঁপছে। সবকিছুর বিনিময়ে হলেও চাইছে প্রিয় মানুষ পাশে থাকুক। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে এসে বলছে, যেন দ্বিতীয় জীবন ফির পেলাম। এ যেন এক অন্য জীবন, আবার নতুন করে শুরু করবে জীবন এমনি অঙ্গীকার তাদের। সময় যেন থমকে দাঁড়িয়েছিল। এখন আবার হাঁটতে শুরু করেছে।
আমরা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছি। খুব বেশি দিন দূরে নয় আবার ছুটে চলব আগের মতো।
আপাতত রেমডেসিভির ওষুধ পেয়েছি, অপেক্ষা ভ্যাকসিনের। এ আঁধার কেটে যাবে শিগগিরই, দেখা পাব আলোর এই প্রত্যাশা।
- ‘প্রধানমন্ত্রীর কথার বাস্তবায়ন হতে দিচ্ছে না বিশেষ মহল’
- শোক হোক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শক্তি
- জামায়াত গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইছে না: শাহরিয়ার কবির
- ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা
- ঐক্যফ্রন্ট: দলছুট বুড়ো খোকাদের ‘গোল্লাছুট’
- ‘যে পাপ করেছি, তার প্রায়শ্চিত্য করতেই হবে’
- তাদের অবশ্যই নির্বাচনে আসতে হবে: ইকবাল সোবহান চৌধুরী
- সিডও সনদের বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা
- বিএনপির প্রযুক্তি বিরোধিতা নতুন কিছু নয়
- বি. চৌধুরীর কাছে সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের প্রশ্ন!
- আল্লাহ-রাসুলের পর বঙ্গবন্ধুকে নেতা মানেন খালেদার উপদেষ্টা
- এবার কালো মেয়েকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিন
- ইতিহাসের কলঙ্কময় অধ্যায় পিলখানা হত্যাযজ্ঞ
- ‘বিরোধী শিবিরের মেসি হবেন ড. কামাল’
- নির্দিষ্ট পরিমাণের পর সম্পদে অধিকার ঠিক না
‘স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি’
‘জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে’
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাস
উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
ইসরাইলি গণহত্যা নিয়ে প্রতিবেদন করে হুমকির মুখে জাতিসংঘ কর্মকর্তা
সোমালিয়ায় জিম্মি জাহাজ উদ্ধার নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করবেন আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
‘সাড়ে আট হাজার ডাকঘর `স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে` রূপান্তরিত হবে’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউএন ওমেনের প্রতিনিধি
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : ঢাকাবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
‘জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজ গঠনে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে’