Banglar Unnoyon :: বাংলারউন্নয়ন.নেট

এবার শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ে ৩ মন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলারঅর্জন.কম

প্রকাশিত : ০৮:২৫ এএম, ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার

শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. দিপু মনি। তিনি চাঁদপুর সদর থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে, এ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পদে কাউকে দায়িত্ব না দেয়া হলেও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মো. জাকির হোসেন। ফলে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ে তিন মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করবেন।

রোববার (৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ১৯৬৫ সালে ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এম এ ওয়াদুদ ও মাতা রহিমা ওয়াদুদ। এম এ ওয়াদুদ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, ভাষা আন্দোলনের বীর সৈনিক এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কাউন্সিলে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ডা. দীপু মনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আইনে লেখাপড়া করেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত এবং দেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের তরুণ নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছাতেই ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে টানা সাড়ে ১৬ বছর চট্টগ্রামের মেয়র ছিলেন তারা বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরী।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আসীন থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর জৈষ্ঠ পুত্র ব্যারিস্টার নওফেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৯৮৩ সালে ২৬ জুন চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার নওফেল। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাবার পক্ষে কাজ করে আলোচনায় আসেন তিনি। পিতা এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর নির্বাচনে পেছনের শক্তি হিসাবে কাজ করে শেখ হাসিনার সুনজরে আসেন তিনি।

অন্যদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মো. জাকির হোসেন।

মো. জাকির হোসেন ১৯৬৬ সালে কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার মণ্ডলপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মো. সামসুল হক মণ্ডল এবং মাতা মোছাম্মাৎ জোলেখা খাতুন।

মো. জাকির হোসেন চিলমারীর থানাহাট এ ইউ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। তিনি কুড়িগ্রামের রাজাহাট মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি এবং লালমনিরহাটের হাতিবান্দা আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজে থেকে বিএ পাস করেন। এরপর রংপুর আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে শ্রম, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।