Banglar Unnoyon :: বাংলারউন্নয়ন.নেট

মে মাসেও প্রবাসী আয়ে রেকর্ড

ডেস্ক রিপোর্ট:

বাংলারউন্নয়ন.নেট কম

প্রকাশিত : ০২:৪৭ পিএম, ৪ জুন ২০২১ শুক্রবার

মহামারি করোনার মধ্যেও প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়েছে। প্রবাসীরা মে মাসেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-মে) ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এটা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ৭৭৮ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, প্রবাসীরা গত মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছরের মে মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।


প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। ১ জুন বিকাল নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রবাসীরা গত এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এটা আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় প্রায় ৯৭ কোটি ডলার বেশি।

গত বছর (২০২০ সাল) এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার। গত মাসে ঈদ থাকায় প্রবাসীরা বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান বলেন, গত মাসে পবিত্র রমজানের ঈদ ছিল। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই‌ মাসে মাইলফলক রে‌মিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রে‌মিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একক মাসে এত রে‌মিট্যান্স আর আসেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। অবশ্য গত অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছিল এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনও প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। নতুন অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের বিপরীতে প্রণোদনা সহায়তা শতকরা ৩ টাকা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।