Banglar Unnoyon :: বাংলারউন্নয়ন.নেট

একই জমিতে ৭ ফসলের চাষ, লাভবান হচ্ছেন কুড়িগ্রামের রৌমারীর কৃষকরা

ডেস্ক রিপোর্ট:

বাংলারউন্নয়ন.নেট কম

প্রকাশিত : ০৬:০২ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষি জমিতে একই সঙ্গে সাত ধরনের ফসলের চাষে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন কৃষকরা। একই জমিতে কয়েক ধরনের ফসল চাষ করে অধিক লাভবান হয়েছেন তারা।

স্থানীয়রা জানায়, এই অঞ্চলে ৮৫ ভাগ মানুষই কৃষির উপর নির্ভশীল। খরা, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে চাষাবাদ করে বেঁচে থাকতে হয় তাদের। প্রতি বছরই বন্যার ভয়াবহতা ও পাহাড়ি ঢল মোকাবিলা করতে হয় এই অঞ্চলের মানুষকে। কিন্তু বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষিজমিতে একই সঙ্গে সাত ধরনের ফসল চাষ করেন কৃষকরা। এতে সাফল্য অর্জন করছেন তারা। সমতল ভূমি যেটুকু আছে সেখানে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হলেও অসমতল ও বালি মাটিতে চাষ করা হচ্ছে নানা জতীয় রবিশস্য।

সরে জমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর, কোমড়ভাঙ্গী, কাশিয়াবাড়ী, লাঠিয়ালডাঙ্গা, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাজাইকাটা, বন্দবেড় ইউনিয়নের চরবাঘমারা, ও চরশৗলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী নামক এলাকার অর্ধশতাধীক হেক্টর কৃষি জমিতে সাতমিশালী ফসল চাষ করা হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে- লালশাক, টমেটো, বেগুন, লাউ, মরিচ, ঢেড়স ও আখ।

চরবাঘমারা গ্রামের আজমল, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, ফলুয়ারচর গ্রামের মোজাম্মেল হক, আজিজুল হক, কাজাইকাটা গ্রামের জয়নাল, নুরন্নবী ও ঘুঘুমারী গ্রামের সাইদুর রহমান, ফিরোজ মিয়া জানান- চরাঞ্চলের জমিগুলো অসমতল। বালির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ইরি-বোরোর পরিবর্তে একই জমিতে সাত রকমের ফসল চাষ করেন তারা। শুরুতেই আখ চাষ করেন। পরে ওই জমিতে শাক বোনেন। এসব রোপনের ১৫-১৬ দিন পর সারিবদ্ধভাবে মরিচ, বেগুন ও লাউ বীজ রোপন করেন। পরে এক মাসের মধ্যে সবজি বাজারজাত শুরু করতে পাড়েন তারা। এসব ফসলের মধ্যে বেগুন, মরিচ ও লাউ অধিক সময় ধরে বাজারজাত করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন কৃষকরা। 

তারা জানান, আখ ক্ষেতে এসব সবজি চাষ করায় জমির পরিচর্যা ভালো হয়। ফলে আখের ফলনও বৃদ্ধি পায়।

এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে একই কৃষি জমিতে মিশ্র ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রণোদনা ও পুনর্বাসনের আওতায় এনে বিভিন্ন বীজ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মিশ্র ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত ও বিভিন্ন পরার্মশ দেওয়ায় অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।