মাদকসেবীদের জায়গা পুলিশ বাহিনীতে হবে না: ডিএমপি কমিশনার
বাংলারউন্নয়ন.নেট কম
প্রকাশিত : ০১:১৬ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার
মাদকসেবীদের কোনো জায়গা পুলিশ বাহিনীতে হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বিভিন্ন অপরাধের সঙ্ড়ে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে হবে। এর মাধ্যমে প্রচুর তথ্য পাওয়া যায়, যা সমাজে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আরো বেশি তৎপর হতে হবে। মাদক শুধু উদ্ধার করলে হবে না, এর রুট পর্যন্ত যেতে হবে। প্রযুক্তিগত পদ্ধতি প্রয়োগের পাশাপাশি ম্যানুয়েল সোর্স নিয়োগের মাধ্যমে বস্তিসমূহ মাদকমুক্ত করতে হবে। মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের মা-বাবা, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা যেন সুপথে ফিরে আসতে পারে তার জন্য কাজ করতে হবে।
এ সময় রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিসেম্বর’-২০২০ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উত্তম কর্ম সম্পাদনের প্রেক্ষিতে পুরস্কৃত করা হয়।
ডিসেম্বর- ২০২০ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির আট ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এমএম মঈনুল ইসলাম।
অফিসার ইনচার্জদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ জামাল উদ্দিন মীর। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুর রহমান।
পুলিশ পরিদর্শক অপারেশনদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ফারুক মোল্লা।
শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মো. শরীফুল ইসলাম ও কোতয়ালী থানার এসআই পাভেল মিয়া।
শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ারী থানার এএসআই মো. নুর ইসলাম ও মতিঝিল থানার এএসআই হেলাল উদ্দিন।
৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন ডিবি গুলশান এবং গুলশান জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. গোলাম সাকলায়েন।
চোরাই গাড়ী উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম ডিবি-লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস।
মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গুলশান জোনাল টিম এবং ডিবি গুলশানের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. গোলাম সাকলায়েন।
অজ্ঞান/মলমপার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন ডিবি-রমনা এবং ধানমন্ডি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তরিকুর রহমান।
আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন কোতয়ালী ট্রাফিক জোন বিমান কুমার দাস।
শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন কোতয়ালী ট্রাফিক জোনের কাজী আমিনুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট হয়েছেন শাহবাগ ট্রাফিক জোনের মো. রোকনুজ্জামান ও মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আব্দুল কাদের।
এছাড়াও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার ৫৮ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
বিশেষ ক্যাটাগরিতে প্রসিকিউশন বিভাগ, আইএডি বিভাগ, উপ-পুলিশ কমিশনার, (স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ বিভাগ) ও উপ-পুলিশ কমিশনার, (ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ) দেরকে পুরস্কৃত করা হয়।
এছাড়াও বিট পুলিশিং কার্যক্রম সংক্রান্তে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মনিরুল ইসলাম , অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার , যুগ্ম পুলিশ কমিশনারা, উপ-পুলিশ কমিশনারাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।