Banglar Unnoyon :: বাংলারউন্নয়ন.নেট

সরকারি তৎপরতায় সিলেটে ঘরে উঠছেন ভূমিহীনরা

নিউজ ডেস্ক

বাংলারউন্নয়ন.নেট কম

প্রকাশিত : ০১:৫৩ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২১ বুধবার

আর্থ সামাজিক উন্নয়ন তথা সেবার মানসিকতা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। ‘মুজিববর্ষে একটা মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না’, প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগে প্রায় ১০ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে দুই হাজার ৪০০টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। যা আগামী ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে হস্তান্তর করা হবে। বাকি ঘরগুলো আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রস্তুত করার কথা রয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, সিলেট বিভাগে বরাদ্দকৃত প্রায় ১০ হাজার ঘরের মধ্যে সিলেট জেলায় বরাদ্দ চার হাজার ১৭৮টি, মৌলভীবাজারে এক হাজার ৭৫টি, হবিগঞ্জে ৪৫২ এবং সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ৯০৮টি। এরইমধ্যে ২ হাজার ৪০০ ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে এক হাজার ১৮৫টি, মৌলভীবাজারে ৬৯৭টি, হবিগঞ্জে ২২৬ এবং সুনামগঞ্জে ৪২২টি। প্রস্তুত করা ঘরগুলোর চাবি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসেই ভূমিহীন পরিবারগুলোকে হস্তান্তর করা হবে।

সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব ও পরিচালক স্থানীয় সরকার) মো. ফজলুল কবীর বলেন, প্রতিটি ঘর তৈরিতে সরকারের খরচ হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ভূমিহীনরা আরও নগদ চার হাজার টাকা করে পাবেন। সে হিসাবে ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারের পেছনে সরকারের বরাদ্দ এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এম কাজি এমদাদুল ইসলাম বলেন, সিলেট জেলায় প্রস্তুতকৃত ঘরগুলো হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। এরপর যেসব ঘর তৈরি হবে, তাৎক্ষণিক ভূমিহীন পরিবারকে তা হস্তান্তর করা হবে।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী আবুল লেইছ চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়ন থেকে ভূমিহীন ৮৫ জনের তালিকা দিয়েছিলাম। এরমধ্যে ৩৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে।

সরকারের এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবুল লেইছ বলেন, পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ১৮ কোটি মানুষের পরিবারকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন। করোনাকালেও সহযোগিতা ছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাড়া, পঙ্গু ভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালু রেখেছেন। এবার ভূমিহীনদের জন্য তিনি বানিয়ে দিচ্ছেন ঘর।

নন্দিরগাও ইউপি চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান আমিরুল বলেন, যাদের জমিও নেই, ঘরও নেই। নতুন ঘর পাওয়া তাদের কাছে যেন আকাশের চাঁদ পাওয়ার মতো। এক কথায় অসম্ভবকে সম্ভব করিয়ে দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।