Banglar Unnoyon :: বাংলারউন্নয়ন.নেট

চট্টগ্রামে পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য নির্মিত হচ্ছে ২টি আবাসিক ভবন

নিউজ ডেস্ক

বাংলারউন্নয়ন.নেট কম

প্রকাশিত : ০৫:২৫ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২০ রোববার

চট্টগ্রাম মহানগরীর জামাল খান ওয়ার্ডের ঝাউতলা এলাকায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য নির্মিত হচ্ছে ১৪তলা বিশিষ্ট দুটি আবাসিক ভবন। এতে আবাসন হবে ৩৮৯টি পরিবারের। বৃহস্পতিবার ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, এই মহৎ কাজে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বরাদ্দ একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ।

চসিক মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছা ও প্রণোদনায় চট্টগ্রাম নগরীর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য বাসযোগ্য অত্যাধুনিক আবাসন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ সমাজের কর্মজীবী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বাসস্থানের মৌলিক অধিকার পূরণের একটি ভিত্তি সোপান। সেবকদের যেভাবে মানুষ হিসেবে দেখা উচিত সেভাবে থেকে দেখা হয় না, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সেবকরাও মানুষ।

তিনি জানান, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ২২ হাজার বর্গমিটারের এই ভবনগুলোতে ৩৮৯টি পরিবারের বাসস্থান হবে। কমন স্পেসসহ প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ৬০২ বর্গফুট। প্রতিটি ভবনে দুটি বেড রুম, ড্রইং কাম ডাইনিং স্পেস, কিচেন ও ওয়াসরুম থাকবে। ভবনের নিচতলায় স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার, কিডস জোন, উপাসনালয়, দুটি লিফট, ৪০০ কেভি জেনারেটর, ট্রান্সফরমার ও অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার সরঞ্জাম থাকবে। চট্টগ্রাম নগরীতে এই পরিচ্ছন্নকর্মী ভবন একটি সর্বাধুনিক বাসযোগ্য আবাসন হিসেবে পরিচালিত হবে।

দুই সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন ॥ বৃহস্পতিবার মহানগরীর পশ্চিম বাকলিয়ায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, বিগত ৫ বছরে কর্পোরেশন নির্মাণ করেছে অসংখ্য রাস্তা ও ব্রিজ, যা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে উন্নত ও আধুনিক। এর ফলে বর্তমানে নগরীতে যাতায়াত ব্যবস্থায় এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য ও আরামদায়ক অনুভূতি। এসবই সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায়। তিনি চট্টগ্রামের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরই প্রতিফলন চট্টগ্রামে অভাবনীয় উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। 

মেয়র বলেন, নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা, তা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কিছু মেগা প্রকল্প সংযুক্ত হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ওয়াসাসহ যে সরকারী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তার পারস্পরিক সমন্বয় প্রয়োজন। নগর উন্নয়নে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে যেভাবে যা কিছু দরকার তা করতে আমি উদ্যোগী হয়েছি।

কাউন্সিলর এ কে এম আরিফুল ইসলাম ডিউকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।