Banglar Unnoyon :: বাংলারউন্নয়ন.নেট

রোববার থেকে চালু হচ্ছে পোশাক কারখানা

ডেস্ক নিউজ

বাংলারউন্নয়ন.নেট কম

প্রকাশিত : ০১:৫৯ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০২০ শনিবার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৭ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা পোশাক কারখানাগুলো রোববার (৫ এপ্রিল) থেকে আবার চালু হচ্ছে। তবে কাজ নেই এমন কারখানা চাইলে বন্ধ রাখতে পারবেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিজিএমইএ বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা পর্যন্ত এক হাজার ৯২টি কারখানায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। এসব কারখানার মোট ২০ লাখ ১৬ হাজাট শ্রমিকের কর্মসংস্থান রয়েছে।

এদিকে বন্ধ হওয়া সময়ে গ্রামে চলে যাওয়া অনেক কারখানা শ্রমিক ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। রাস্তায় যানবাহন না থাকায় তাদের অনেকেই পায়ে হেটে ঢাকার পথে রওনা হতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, যেসব কারখানায় স্বাস্থ্যসেবার জন্য পিপিই, মাস্ক তৈরি করছে তাদের কারখানা চলমান আছে। আমরা কারখানা বন্ধের আহ্বান জানয়েছিলাম। কারখানা চালু করতে অবশ্যই আইইডিসিআর কর্তৃক জারি করা স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মালিকরা প্রয়োজনবোধে কারখানা চালু করতে পারবে তবে, কারখানা প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শ্রমিকের তাপমাত্রা বাধ্যতামূলক পরীক্ষা করতে হবে। কোনো শ্রমিকের করোনো পাওয়া গেলে তাকে কোয়ারান্টিনে রাখতে হবে এবং ওষুধ মালিককে বহন করতে হবে।

বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান জানান, শ্রমিকদের সুরক্ষায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছিলাম। হয়তো বেশি দিনের কাজ নেই, আবার তাদের বেতন দেওয়ার বিষয় আছে। এ অবস্থায় রোববার থেকে কারখানা খুলবে তবে, কাজ নেই এমন কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন। তবে সেটা শ্রমিক মেরে যেনো না হয়, শ্রমিকের পাওনা দিতে হবে। 

উল্লেখ্য, শ্রমিকদের সুরক্ষায় গত ২৭ মার্চ থেকে শনিবার (৪ এপ্রিল) পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও নিট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দিনগত রাতে এক বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক ও বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক নিরাপত্তার কথা ভেবে সব কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর পরদিনই বিকেএমইএ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আহ্বানের পরিবর্তে বন্ধের ঘোষণা দেয়।