Banglar Unnoyon :: বাংলারউন্নয়ন.নেট

বাংলাদেশে মাত্র তিন ঘণ্টায় পরীক্ষা করা যাবে ৯৬ করোনা রোগী!

নিউজ ডেস্ক

বাংলারউন্নয়ন.নেট কম

প্রকাশিত : ০৮:৩০ এএম, ১ এপ্রিল ২০২০ বুধবার

বাংলাদেশে মাত্র তিন ঘণ্টায় ৯৬ করোনা রোগীর পরীক্ষা করা যাবে। বিষয়টি অসম্ভব হলেও সম্ভবের কথা বলেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। তিনি রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন অ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) মেশিনে এ পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন। এ নিয়ে তার ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন। এমন স্ট্যাটাসের পর বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে শুরু হয় ইতিবাচক মন্তব্য। অনেকেই এই পদ্ধতির অনুমোদনের দাবি জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান বলেন, করোনাভাইরাস নির্ণয়ের সঠিক পরীক্ষা করা হয় রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকটিও (আরটি-পিসিআর) এর মাধ্যমে। যারা মলিকুলার বায়োলজি সম্পর্কিত গবেষণা করেছি তারা সবাই আরটি-পিসিআর মেশিনের সঙ্গে সুপরিচিত। বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে আরটি-পিসিআর মেশিন আছে। সরকারের অনুমতি পেলে যথাযথ নিরাপত্তা নিয়ে স্ব-স্ব ল্যাবে করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষা করে জাতির এ দুর্যোগে অবদান রাখার সুযোগ পাবো। আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত বিচ্ছিন্ন করে বাকি সবাইকে নিরাপদ রাখা যাবে। ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করে এই পদ্ধতিতে কাজ করা সম্ভব। কারণ এখন পিপিইসহ গবেষকদের যে সব জিনিস দরকার তা রয়েছে। আর যদি নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনা থাকলে তাহলে সংরক্ষিত কোনো জায়গায়ও এটি করা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের কষ্ট করে আর আইইডিসিআরের শরণাপন্ন হতে হবে না। দেশের প্রায় সব কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার মতো গবেষণাগার রয়েছে। যদি সরকার এটির অনুমোদন বা অনুমতি দেয় তাহলে মানুষের কষ্ট অনেকটা কমে যাবে। তাছাড়া করোনা পরীক্ষা যদি দেশের সব জায়গায় করা যায় তাহলে কারও সন্দেহ হলে সে পরীক্ষা করতে পারবে।

আর সে এই ভাইরাসে সংক্রমিত না হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে সহজেই চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে। এর ফলে এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকরা রোগী দেখতে যে ভয় পাচ্ছেন বা রোগী না দেখতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাও কমে যাবে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বী বলেন, করোনার বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে আইইডিসিআর নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের সঙ্গে কথা বললে এই পদ্ধতি ব্যবহার বা অনুমতির বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি বলেন, আমরা আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। এখন সরকারি নির্দেশনার বাইরে আমরা কোনো কথা বলতে পারবো না।