Banglar Unnoyon :: বাংলারউন্নয়ন.নেট

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন অভিনেত্রী তিশা ও জয়া

ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলারউন্নয়ন.নেট কম

প্রকাশিত : ০৯:৪৩ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটলো। এলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ঘোষণা। তথ্য মন্ত্রণালয় ২০১৭ ও ২০১৮ সালের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে আজ ৭ নভেম্বর। জানা গেল বিগত দুই বছরে চলচ্চিত্রে বিভিন্ন বিভাগে সেরাদের নাম।

সেই সঙ্গে জানা গেল দুই বছরে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ীদের নাম। ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৭ সালের সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘হালদা’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তাকে পুরস্কৃত করতে যাচ্ছে রাষ্ট্র।

২০১৬ সালের ‘অস্তিত্ব’ ছবির জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন তিশা। এবার তার হাতে দ্বিতীয়বারের মতো উঠতে চলেছে এই পুরস্কার।

অন্যদিকে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দেবী’ ছবিতে রানু চরিত্রে মুগ্ধতা ছড়ানো জয়া আহসানকে
সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি দিয়েছে জুরিবোর্ড। এর ফলে দ্বিতীয়বারের মতো মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতলেন জয়া।

এর আগে তিনি ২০১৫ সালে ‘জিরো ডিগ্রি’ ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন। অনিমেষ আইচ পরিচালিত সেই ছবিতে জয়ার বিপরীতে ছিলেন মাহফুজ আহমেদ।

দুই বছরের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণায় ২০১৭ সালের সেরা ছবি হয়েছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এবং ২০১৮ সালের সেরা ছবি ‘পুত্র’। সেরা পরিচালক হয়েছেন ২০১৭ সালের ছবি ‘গহীন বালুচর’র নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ। ২০১৮ সালের সেরা নির্মাতা হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন ‘জান্নাত’ ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।

২০১৭ সালে যৌথভাবে সেরা নায়ক হয়েছেন ‘সত্তা’ ছবির জন্য শাকিব খান ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির জন্য আরিফিন শুভ। ২০১৮ সালে ‘পুত্র’ ছবি দিয়ে সেরা অভিনেতা হয়েছেন ফেরদৌস এবং ‘জান্নাত’ ছবি দিয়ে সেরা অভিনেতা সাইমন সাদিক।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিতে জুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। গঠিত বোর্ড সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলো মূল্যায়ন করে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম সুপারিশ করেছে। তারই ভিত্তিতে প্রদান করা হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

১৩ সদস্য বিশিষ্ট জুরি বোর্ডে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) সভাপতি করা হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সদস্য-সচিব হিসেবে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চলচ্চিত্র) ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া ২০১৭ সালের জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আহসান বুলবুল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক এম এ আলমগীর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম।

২০১৮ সালের জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, চলচ্চিত্র অভিনেতা ড. এনামুল হক, সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক হাসান মতিউর রহমান, অভিনেত্রী রওশন আরা রোজিনা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থার যুগ্ম-মহাসচিব তপন আহমেদ।

এবার মোট ২৮টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। সেগুলো হলো আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী, শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার, শ্রেষ্ঠ চিত্র নাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান।