১৯ জেলায় এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ করছে সওজ

মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যানবাহন চলাচল রোধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য দেশের ১৯টি জেলায় এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ করতে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।
এসব জেলায় সব মিলিয়ে ২৮টি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এজন্য ব্যয় হচ্ছে ৪৯০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিযুক্ত করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে তারা। এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশনগুলোর মধ্যে ১৮টি জাতীয় মহাসড়কে, পাঁচটি আঞ্চলিক মহাসড়কে ও বাকি পাঁচটি পড়বে জেলা মহাসড়কে।
নির্মাণ করতে যাওয়া এসব এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশনের মধ্যে হবিগঞ্জের জগদীশ্বরপুরে একটি, কুমিল্লার ময়নামতিতে দুটি, বাগেরহাটের দিগরাজে একটি, নবাবগঞ্জের কয়লাবাড়িতে একটি, দোহাজারীর কেরানীর হাটে দুটি, কুড়িগ্রামের তুরা স্থলবন্দরে একটি, পঞ্চগড়ের ভজনপুরে একটি, দিনাজপুরের হিলিতে একটি, শেরপুরের শিমুলতলায় একটি, ময়মনসিংহের গোবরাকুরায় একটি, সাতক্ষীরার নাওবাদকাঠিতে একটি, নীলফামারীর কাজিরবাজারে দুটি, টাঙ্গাইলের বড় ইসাপুরে একটি, ফেনীর বিলোনিয়ায় একটি, চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় দুটি, চট্টগ্রাম বন্দর সংযোগ সড়কে একটি, গাজীপুরের মাস্টারবাড়িতে দুটি, মুন্সীগঞ্জের রোহিতপুরে একটি, মাদারীপুরের ভাঙ্গায় একটি, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও দরগারহাটে দুটি এবং সিলেটের সুতারকান্দিতে দুটি স্টেশন রয়েছে।
হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শেরপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, ফেনী, মুন্সীগঞ্জ, সিলেট ও টাঙ্গাইলের ১৭টি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণের জন্য সওজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স। চুক্তিমূল্য ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
অন্যদিকে বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, নীলফামারী, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা ও মাদারীপুরের ১১টি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। চুক্তিমূল্য ১৮৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। গত সোমবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে চুক্তিগুলো করেছে সওজ।
সওজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১২ সালের এক্সেল লোড কন্ট্রোল নীতিমালার আলোকে স্টেশনগুলো পরিচালিত হবে। স্টেশনগুলোর কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে নিজস্ব জনবলের পাশাপাশি আউটসোর্সিংও করা হবে। স্টেশনগুলোতে এক্সেল লোড ডাটা সংগ্রহের যন্ত্রপাতি, বিল্ট ইন ভিডিও ক্যামেরাসহ ওয়েববেজড সিস্টেম করা হবে। ফলে দূরবর্তী স্থান থেকে পরিচালনা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
সওজের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে স্টেশনগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটির পটভূমিতে বলা হয়েছে, গেজেট অনুযায়ী, দুই চাকাবিশিষ্ট সামনের এক্সেলের এবং চার চাকাবিশিষ্ট পেছনের এক্সেলের সর্বোচ্চ ওজনসীমা ইউনিট ধরা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ টন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, মহাসড়কে নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে বেশি ওজন নিয়ে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে। ফলে নির্ধারিত আয়ুষ্কালের আগেই মহাসড়কের আয়ু ফুরিয়ে যায়। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য দরকার হয় অতিরিক্ত অর্থ। এছাড়া পণ্যবাহী গাড়ির অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চলাচল সড়ক দুর্ঘটনারও অন্যতম কারণ। সামগ্রিকভাবে দেশে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যানবাহন চলাচল রোধ করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।
- মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’ এর বিশেষ ক্যাম্পেইন, হতে পারেন লাখপতি
- ১৩ হাজার টন পাম তেল নিয়ে আসছে ইন্দোনেশিয়ান জাহাজ
- পুনরুদ্ধারের পথে দেশের অর্থনীতি
- ভারত ও নেপালে রফতানি হবে বিদ্যুত
- মধুমতি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
- একাই লড়ছে সরকার, অন্যরা হাত গুটিয়ে
- কৃষিতে বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ
- আজ ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ও ১৩টি সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- জাতীয় পাট দিবস পালিত হবে ৬ মার্চ
- তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ২য় অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ
- ৫ বছরে ই-কর্মাস ব্যবসার প্রবৃদ্ধি ৩০ গুণ
- জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে বাংলাদেশ: আইএমএফ
- ভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করছে বাংলাদেশ
- চাল উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে তৃতীয় হতে যাচ্ছে বাংলাদশ
- সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ খাতে বরাদ্দ সাড়ে ৬৪ কোটি