শতবর্ষী ঐতিহ্য, আতাইকুলার লুঙ্গি-গামছার হাট
ডেস্ক রিপোর্ট

ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক লাগোয়া সাঁথিয়া উপজেলার ইছামতি নদীর কোলে গড়ে ওঠা, বেড়ে ওঠা শতবর্ষী আতাইকুলা লুঙ্গির হাট। এখনো দেশের শীর্ষস্থানীয় লুঙ্গির হাট এটি। যেখানে প্রতি হাটবারে কয়েক কোটি টাকার লুঙ্গি, শাড়ি, গামছা কেনা-বেচা হয়। রোজার সময় এ হাট আরো জমজমাট হয়। ঈদ সামনে রেখে রমজান মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লুঙ্গি কেনাবেচা হবে।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, সপ্তাহের শুক্র-শনিবার এই দুইদিন পাইকারি লুঙ্গির হাট বসে। এছাড়া রোববার ও বুধবার আতাইকুলায় সাধারণ হাটবার। এই দুইদিন লুঙ্গি খুচরা বিক্রি হয়। অর্থাৎ সপ্তাহে দুইদিন লুঙ্গির হাট বসে। রোজার মাসে সপ্তাহের সাতদিনই বসে লুঙ্গির হাট।
গঙ্গারামপুর গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, ৩৫ বছর ধরে তিনি এ হাট করছেন। শুরুতে তার একটি মাত্র তাঁত ছিল। এখন তার তাঁত বেড়েছে। ব্যবসাও বেড়েছে। ওই দোকানে বসেছিলেন আরেক ব্যবসায়ী সুজানগরের ছলিম উদ্দিন। তিনি জানালেন তার বয়স ৮৪ বছর। ছোটবেলা থেকেই এখানে লুঙ্গি কাপড়ের হাট দেখছি। এখানকার কাপড়ের হাটের বয়স একশ’ বছর ছাড়িয়ে গেছে বলে তার ধারণা।
একই কথা বললেন স্থানীয় ব্যবসায়ি আবদুর রহিম। তিনি ২০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন। তিনি জানান, তার জন্মেরও আগে এখানে লুঙ্গির হাট লাগতো। তার কথায় সায় দিলেন জালালপুরের ৬২ বছর বয়সী আব্দুল কাদের। তারা সবাই বলছিলেন রোজার মাসে রেকর্ড পরিমাণ লুঙ্গি বিক্রি হয়। কারণ এ সময় যাকাত এর জন্য লোকজন লুঙ্গি কাপড় বেশি কেনে।
হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর প্রভৃতি স্থান থেকে পাইকাররা চলে আসেন। আর কুষ্টিয়া, শাহজাদপুর, গঙ্গারামপুর, এনায়েতপুর, সোহাগপুর, জালালপুর, নন্দনপুর, সুজানগর, ভাড়ারা, লোহাগাড়া, বেড়া, সাঁথিয়া, দোগাছি প্রভৃতি এলাকা থেকে তাঁতিরা লুঙ্গি, গামছা, শাড়ি নিয়ে হাজির হন। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু করে একটানা শনিবার পর্যন্ত বিক্রি চলে।
প্রায় চার-পাঁচ হাজার ছোট-বড় ব্যবসায়ী এ হাটে আসেন। তবে যারা পাঁচ-দশখানা লুঙ্গি নিয়ে হাটে আসেন তাদের গণনায় ধরলে এ সংখ্যা আরো ছাড়িয়ে যাবে।
ক্রেতা-বিক্রেতা- হাট ইজারাদারদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, প্রতি শুক্র ও শনিবার আলাদাভাবে প্রতি হাটে ৩-৪ কোটি টাকার লুঙ্গি কাপড় কেনা-বেচা হচ্ছে। সে হিসাবে এবার রমজান মাসের ৮ হাটে ২৪-৩২ কোটি টাকার লুঙ্গি কাপড় কেনা-বেচা হবে বলে আশা করছেন তারা। আর সপ্তাহের অন্যান্য দিনের বেচা কেনা ধরলে রমজান মাসে ৫০ কোটি টাকার কেনা-বেচা হবে।
আলোকচর গ্রামের মিজানুর বলেন, একজন বড় ব্যবসায়ী হয়ত পাঁচ লাখ টাকার লুঙ্গি কাপড় বিক্রি করে তো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী করে পাঁচ হাজার টাকার। যেমনটি সে নিজে বিক্রি করতে পারে প্রতি হাটে ৮-১০ হাজার টাকার লুঙ্গি কাপড়।
এই দেশখ্যাত লুঙ্গির হাটে এবারের সেরা লুঙ্গি কোনটি জানতে চাইলে পাবনা সদর উপজেলার চাচকিয়া গ্রামের হাবিবুল্লাহ জানান, চাঁচকিয়ার লুঙ্গিই শ্রেষ্ঠ। এ লুঙ্গির সুনাম সারা দেশব্যাপী। প্রতি পিচ লুঙ্গি পাঁচশ’ থেকে আটশ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তার সঙ্গে সায় দেন বাকিরাও।
তাঁতি ও ব্যবসায়ীরা জানান এ হাটে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি নেই।
আতাইকুলা থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, ক্রেতা- বিক্রেতাদের নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ এখানে সদা সতর্ক রয়েছে। তাই এখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও নেই। দিন-রাত সমানতালে নিরাপদে কেনা-বেচা চলছে।
- এবারও ভালো করেছে মেয়েরা
- প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
- মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন তারা!
- সচিবালয় এলাকায় উপসচিবকে জরিমানা
- সেনাপ্রধানের নির্দেশনা মেনে করোনা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেনাবাহিনী
- বিএনপি নেতা ফখরুলের ভিডিও বার্তা নিয়ে বিতর্ক তুমুলে
- বাস্তবায়নের পথে ব-দ্বীপ স্বপ্ন
- ১০ টাকায় এনআইডি সেবা পাবে সাধারণ মানুষ!
- ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমলো
- বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে তুরস্ক-ফিলিপাইনসহ বিশ্বের ৬ দেশ
- রিপ্লাই দিয়ে মন্ত্রী সেই সমস্যার সমাধান করলেন ১ মিনিটে
- সবচেয়ে ‘বেশি ঠাণ্ডা’ পড়ছে রাজধানীতে
- ফেসবুকে কমেন্ট করলেই পেয়ে যাবেন একুশের প্রোফাইল পিকচার!
- দেশে বিমান তৈরি শুরু হবে ২০২১ সালে
- আবারো প্রধানমন্ত্রীর এপিএস হলেন আশরাফ সিদ্দিকী