রোহিঙ্গা সঙ্কটের ৬ বছর: এখনো অনিশ্চিত প্রত্যাবাসন
ডেস্ক রিপোর্ট

নিউজ ডেস্ক : জ্বলন্ত ঘরবাড়ি আর প্রিয়জনের লাশ পেছনে ফেলে শরণার্থীদের সেই ঢলের পর ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে তাদের বাসভূমে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ এই সময়ে বাংলাদেশেই জন্ম নিয়েছে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা শিশু; তাতে বাংলাদেশের ওপর তৈরি হয়েছে বাড়তি চাপ।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের সেই অনিশ্চিত যাত্রার ছয় বছর পূর্ণ হলো শুক্রবার।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা ঢলের শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট; এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।
জাতিসংঘ সে সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর এই হত্যা ও নির্যাতনকে চিহ্নিত করেছিল ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার চলতি বছরের মার্চে রোহিঙ্গাদের উপর চালানো ওই হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপড়ি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার। ওই বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতেও সই করে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলার এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতিতে রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে না পারায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়।
শুরুর দিকে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যাপক উদ্বেগ দেখিয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতে ভাটা পড়েছে। বাংলাদেশের মানুষ প্রথমে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার পক্ষে থাকলেও সেই প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তন এসেছে। সেই সহানুভূতি আর মানুষের মধ্যে কাজ করছে না। রোহিঙ্গাদের কারণে সংকট বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষও অধৈর্য্য হয়ে পড়ছে। বর্তমানে স্বাভাবিক এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন কারণে এই প্রক্রিয়া থেমে আছে। পাশাপাশি কক্সবাজারের ঘিঞ্জি ক্যম্পগুলোতে সহিংসতা লেগেই আছে।
রোহিঙ্গারা এখন অস্ত্র, মাদক চোরাচালন, মানব পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। আর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে হত্যা করছে একে অপরকে।
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৩২টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে শেষ সাত মাসে ঘটেছে ৩২টি খুন। নিজ দেশে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের প্রতি সদয় হয়ে তাদের আশ্রয় দিলেও এখন তারা বাংলাদেশ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে রোহিঙ্গারা নিজেদের বাড়ি ফিরতে চায়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে গিয়ে আবার নতুন করে সব সাজাতে চায়। কিন্তু মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আগ্রহী নয়। গত ৫ বছরে তাদের ট্র্যাক রেকর্ড তা-ই বলছে।
আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে অন্তর্বর্তী রায় দিলেও দেশটি তাতে গা করছে না। বস্তুত মিয়ানমার এক চরম স্বেচ্ছাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির ধার ধারছে না। এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ অনিশ্চয়তা থেকে বিশ্বনেতারাই পারে- রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার স্বাদ মেটাতে, বাংলাদেশের বুক থেকে লক্ষ রোহিঙ্গার বোঝা নামাতে।
- বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে ৪৮ নম্বর পিলারের কাজ সম্পন্ন
- পদ্মাসেতু: বিজয়ের মাসেই সম্পন্ন হচ্ছে জয়েন্ট মুভমেন্টের ঢালাই কাজ
- পাথরবিহীন রেললাইন বসানো হচ্ছে
- এবারও ভালো করেছে মেয়েরা
- প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
- প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পদ্মা সেতু নিয়ে লিখবে শিক্ষার্থীরা
- ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের অগ্রগতি ৯৯ শতাংশ, উদ্বোধন মার্চে
- মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন তারা!
- ১০ টাকায় এনআইডি সেবা পাবে সাধারণ মানুষ!
- বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে তুরস্ক-ফিলিপাইনসহ বিশ্বের ৬ দেশ
- সেনাপ্রধানের নির্দেশনা মেনে করোনা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেনাবাহিনী
- বাস্তবায়নের পথে ব-দ্বীপ স্বপ্ন
- ট্রেনে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে পৌঁছানো যাবে ঢাকা
- সচিবালয় এলাকায় উপসচিবকে জরিমানা
- বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষের পথে
তালিকা করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্লাইমেট অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর তথ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী