সোমবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ:
আওয়ামী লীগ তোষামোদ করে ক্ষমতায় থাকতে চায় না : প্রধানমন্ত্রী অগ্নিসন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন ‘আউটসোর্সিং করে নেশাখোরদের হাতে আন্দোলন তুলে দিয়েছে বিএনপি’ ‘আ. লীগ নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাছে’
৪৬১

রোহিঙ্গা সঙ্কটের ৬ বছর: এখনো অনিশ্চিত প্রত্যাবাসন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৩  

নিউজ ডেস্ক : জ্বলন্ত ঘরবাড়ি আর প্রিয়জনের লাশ পেছনে ফেলে শরণার্থীদের সেই ঢলের পর ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে তাদের বাসভূমে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ এই সময়ে বাংলাদেশেই জন্ম নিয়েছে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা শিশু; তাতে বাংলাদেশের ওপর তৈরি হয়েছে বাড়তি চাপ।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের সেই অনিশ্চিত যাত্রার ছয় বছর পূর্ণ হলো শুক্রবার। 

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা ঢলের শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট; এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

জাতিসংঘ সে সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর এই হত্যা ও নির্যাতনকে চিহ্নিত করেছিল ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার চলতি বছরের মার্চে রোহিঙ্গাদের উপর চালানো ওই হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপড়ি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার। ওই বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতেও সই করে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলার এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতিতে রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে না পারায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়।

শুরুর দিকে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যাপক উদ্বেগ দেখিয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতে ভাটা পড়েছে। বাংলাদেশের মানুষ প্রথমে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার পক্ষে থাকলেও সেই প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তন এসেছে। সেই সহানুভূতি আর মানুষের মধ্যে কাজ করছে না। রোহিঙ্গাদের কারণে সংকট বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষও অধৈর্য্য হয়ে পড়ছে। বর্তমানে স্বাভাবিক এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন কারণে এই প্রক্রিয়া থেমে আছে। পাশাপাশি কক্সবাজারের ঘিঞ্জি ক্যম্পগুলোতে সহিংসতা লেগেই আছে। 

রোহিঙ্গারা এখন অস্ত্র, মাদক চোরাচালন, মানব পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। আর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে হত্যা করছে একে অপরকে। 

২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৩২টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে শেষ সাত মাসে ঘটেছে ৩২টি খুন। নিজ দেশে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের প্রতি সদয় হয়ে তাদের আশ্রয় দিলেও এখন তারা বাংলাদেশ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে রোহিঙ্গারা নিজেদের বাড়ি ফিরতে চায়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে গিয়ে আবার নতুন করে সব সাজাতে চায়। কিন্তু মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আগ্রহী নয়। গত ৫ বছরে তাদের ট্র্যাক রেকর্ড তা-ই বলছে। 

আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে অন্তর্বর্তী রায় দিলেও দেশটি তাতে গা করছে না। বস্তুত মিয়ানমার এক চরম স্বেচ্ছাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির ধার ধারছে না। এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ অনিশ্চয়তা থেকে বিশ্বনেতারাই পারে- রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার স্বাদ মেটাতে, বাংলাদেশের বুক থেকে লক্ষ রোহিঙ্গার বোঝা নামাতে।

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
  • আখ চাষে লাভবান কুমিল্লার চাষিরা

  • নিরাপদ মাতৃত্ব ও পরিকল্পিত পরিবারই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ

  • বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

  • চাঁদপুরে ৮ ডিসেম্বর বিজয় মেলা 

  • লক্ষীপুর মুক্ত দিবস আজ

  • দেবীদ্বার হানাদার মুক্ত দিবস আজ

  • সাঈদ খোকনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

  • নিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ণ রাখতে রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশ ইসির

  • তালিকা করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

  • ‘নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়’

  • সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চালু হচ্ছে হেলথ কার্ড

  • ঘরের ডলার ব্যাংকে ফেরানোর চেষ্টা

  • ইউএনও ও ওসির বদলি প্রক্রিয়া শুরু

  • জন্মদিনে পিতার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন মেয়র তাপস

  • আরো ৫০ কূপ খননের উদ্যোগ

  • নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা

  • দেশ রক্ষায় নদী বাঁচানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বসছেন শেখ হাসিনা

  • ‘নৌকাকে বিজয়ী করার মাধ্যদিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে’

  • প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্লাইমেট অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর তথ্যমন্ত্রীর

  • ‘ডেঙ্গুসহ ভাইরাসজনিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী’

  • ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ঢাকা’

  • দক্ষ জনশক্তি নিতে কসোভোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

  • ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে’

  • গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত    

  • বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী 

  • কোটালীপাড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

  • সিলেটে সিসিক মেয়রের সাথে চীনের রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

  • নভেম্বরে ২১ শতাংশ বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ 

  • ‘আইএমও নির্বাহী পরিষদে জয়লাভ বিজয়ের মাসে আরেকটি বড় অর্জন’ 

  • ডিসেম্বরেই মতিঝিল পর্যন্ত পুরোদমে মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনা

  • নৌকা ছাড়া জনগণ আর কাকে ভোট দেবে : শিক্ষামন্ত্রী

  • কক্সবাজার থেকে হাজারো যাত্রী নিয়ে ঢাকা গেল প্রথম ট্রেন

  • পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা-ঢাকা রুটে কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু

  • টাঙ্গাইল-আরিচা-বরংগাইল মহাসড়ক নির্মাণ এগোচ্ছে দ্রুত

  • ‘যুবলীগই পারবে নৌকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে’

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ২য় বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

  • পিরোজপুরে কৃষকদের দক্ষতা বাড়াতে বাস্তবায়িত হচ্ছে ২টি প্রকল্প 

  • এইচএসসি`র ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু

  • বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করবে জাইকা

  • নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে চাই: ইসি রাশেদা

  • গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে : সিইসি

  • মানুষের গতিশীলতায় জলবায়ুর প্রভাব: ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

  • পিরোজপুরে ৯ হাজার কৃষককে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা

  • নিখোঁজের ১৪ দিন পর ঘাটে ফিরলেন ৭ জেলে

  • ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দলীয় কৌশলগত সিদ্ধান্ত’

  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত

  • মুন্সীগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংগ্রহশালা উদ্বোধন 

  • প্রথম নারী উপাচার্য পেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

  • হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা বিষয়ক ১৮তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

  • কুষ্টিয়া পৌরসভায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা

  • ভিন্ন মতের নামে দেশবিরোধিতা সহ্য করা হবে না: শেখ পরশ

  • সিলেট-১ আসনের মনোনয়ন দাখিল করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

  • মাগুরায় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাকিব

  • ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২৩’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

  • নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ চসিক মেয়রের

  • ‘বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দী তাদের নেতারা’

  • ‘আন্তর্জাতিক সচেতন মহলও এ নির্বাচনকে সাধুবাদ জানাবেন’

  • ‘সকল অপশক্তি মোকাবিলায় ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে’

  • ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য’