রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন কখোনোই হাল ছাড়বে না: চীনা রাষ্ট্রদূত
ডেস্ক রিপোর্ট

‘বর্তমানে অর্থের অভাবে রোহিঙ্গাদের খাদ্য খরচ মাসে ১২ ডলার থেকে কমে ১০ ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের জন্য যে হাজার কোটি ডলার অস্ত্রে খরচ করেছে, তা শুধু সংঘাতকে ঘনীভূত করেছে। যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনার পরিবর্তে এ অর্থ রোহিঙ্গায় খরচ করা যেত’ বলে মন্তব্য করছেন ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
১৪ মার্চ মঙ্গলবার ঢাকার চীন দূতাবাসে আয়োজিত ‘বসন্ত সংলাপ’ অনুষ্ঠানে মাস তিনেক আগে ঢাকায় যোগ দেয়া এই রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। একই সাথে মিয়ানমারে শিগগির প্রথম ধাপে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে প্রত্যাবাসনের কোনো নির্দিষ্ট দিন তারিখ তিনি উল্লেখ করেননি।
সংলাপটি সহ আয়োজক ছিল ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যার্ন্ডাড (টিবিএস)। সংলাপটি সঞ্চালনা করেন টিবিএসের সম্পাদক ইনাম আহমেদ। অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
মধ্যস্থতাকারী চীন কেন মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে রাজি করাতে পারছে না? সাংভাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট হওয়া উচিত ছিল না। বাংলাদেশ এ জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছে। রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সমস্যা নয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে চীন সংকট সমাধানে তার ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা এ সংকট সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বৈঠক চালু করেছি। এ নিয়ে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বসেছিল ২০১৭ সালে। কিন্তু করোনার কারণে এটি নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।’
মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে ইয়াও তিনি বলেন, ‘২০২১ এর আগে প্রথম পর্যায়ের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পুরো প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। আর এখন প্রক্রিয়া বেশ জটিল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার আস্থার অভাবে। এর পাশাপাশি বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। তবে এখন সময় এসেছে সবাইকে মিলে একত্রে চেষ্টা করার, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক দাতাদের। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন কমে যাওয়া চিন্তার বিষয়। পশ্চিমারা হাজারও কোটি ডলারের অস্ত্র ইউক্রেনে খরচ না করে, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় খরচ করতে পারত।’
এসময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সাহায্য করতে চীন কখনোই হাল ছাড়বে না বলেও মন্তব্য করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
তিস্তা প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। এ প্রকল্প নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। এর বেশি কিছু এ মুহূর্তে বলা যাবে না।’
বাংলাদেশে চীনের অর্থায়নে প্রকল্পগুলো ধীরগতির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ মন্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। বরং চীনের প্রকল্পগুলো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে রয়েছে। ২০১৬ সালে ২৭ প্রকল্পের বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছিল। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে, এক তৃতীয়াংশ প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে এবং এক তৃতীয়াংশ প্রকল্প আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশে কিছু ক্ষেত্রে প্রকল্প ধীর গতি হওয়ার অন্যমত কারণ হচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ।’
২০২৬ সালে স্বল্পন্নোত দেশের কাতার থেকে বের হয়ে গেলে চীনের ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল থাকবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশ থাক বা উন্নত দেশে পরিনত হোক চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বহাল থাকবে।’
- ‘বিয়ের গুজবে কান না দিয়ে হলে গিয়ে আমার ছবিটি দেখুন’
- নির্বাচনে বিএনপি ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি: রিয়াজুল কবির
- ‘ভারত আমাদের বন্ধু, অনিষ্ট করবে বলে মনে করি না’
- বাড়িতে পোষা প্রাণী হতে সাবধান থাকাই ভালো: ডা. আবু রায়হান
- ‘ঋণ হালনাগাদ হলেও অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনবে না’
- লাইভ ভিডিও মনিটর করা অসম্ভব ব্যাপার: জাকারিয়া স্বপন
- ‘করোনা রোধে ডাক্তারদের অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে হবে’
- বাবার লাশ আর সাদা হাতাকাটা গেঞ্জিই একমাত্র স্মৃতি: তাপস
- মহামারীর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
- ‘শেখ মুজিব আজও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার প্রতীক’
- ‘আ. লীগের প্রতিপক্ষ হওয়ার সামর্থ্য ঐক্য প্রক্রিয়ার নেই’
- ‘দুর্বৃত্তরা নির্বাচনে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালাতে পারে’
- মার্কিন নাগরিকত্ব স্যারেন্ডার করেছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘আ. লীগের মনোনয়নে প্রত্যাশা অনুযায়ী পরিবর্তন আসেনি’
- সুষ্ঠু নির্বাচনে আলোর রেখা দেখছি : ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
তালিকা করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্লাইমেট অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর তথ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী