চায়ের দোকানের প্রাণবন্ত আড্ডায় পদ্মা সেতু
ডেস্ক রিপোর্ট

পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের অ্যাপ্রোচ সড়ক-সংলগ্ন একটি টং দোকানে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন কয়েকজন। আলোচনা চলছে পদ্মা সেতু নিয়ে। একেকজন একেকভাবে ব্যাখ্যা করছেন এই সেতু তাঁদের জীবনমান কতটা সমৃদ্ধ করবে। আগে যেখানে জাতীয় কিংবা রাজনীতির নানা সমীকরণ মেলাতেন তাঁরা, সব ছাপিয়ে এখন পদ্মা সেতুই তাঁদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
আলোচনার একপর্যায়ে আজিজুল শেখ নামের এক বৃদ্ধ কৃষক জানান, এ সেতুর জন্য প্রয়োজনে পৈতৃক ভিটেমাটি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। কারণ তিনি মনে করেন, গর্বের এ পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত হতে পারাও গর্বের। তিনি জানান, লৌহজংয়ের উত্তর কুমারভোগ এলাকায় ১৭ শতাংশের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। তাঁর বাড়ির কাছ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে রেললাইন। মাওয়া ছাড়াও পদ্মা সেতু নিয়ে এমন প্রাণবন্ত আলোচনা করতে দেখা গেছে শিমুলিয়া ফেরিঘাট, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন হাটবাজারের টং দোকানগুলোতে।
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়েই এখন কৃষক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষ তাঁদের জীবনমানের উন্নয়ন নিয়ে অধীর আগ্রহে আছেন। তাঁরা বলছেন, যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচন, জাতীয় ও স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে প্রমত্তা পদ্মার বুকে বীরদর্পে দাঁড়িয়ে থাকা দেশের সবচেয়ে বড় আর দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সেতু।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের আরেকটি টং দোকানে কথা হয় শ্রীনগরের কয়কীর্তন গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী কৃষক প্রাণ গোপালের সঙ্গে। উদ্বোধনের আগে পদ্মা সেতু একনজর দেখতে এসেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এতে দেশের উন্নয়ন আরও বাড়বে বলে মনে করেন প্রাণ গোপাল।
৭০ বছর বয়সী এনামুল হক শ্রীনগরের কবুতরখোলা গ্রামে বাড়ি হলেও গত ১৯ বছর ধরে মাওয়া চৌরাস্তা এলাকায় গাড়ির গ্যারেজ চালিয়েছেন। পদ্মা সেতুর জন্য গ্যারেজের জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে তাঁকে। এখন পাশেই সড়কের ধারে খোলা স্থানে গাড়ি মেরামতের কাজ চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও কানাডার আদালতে তা প্রমাণিত হয়নি। নিজেকে পদ্মা সেতুর কাজ সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়ার প্রত্যক্ষ সাক্ষী বলেও জানান তিনি।
লৌহজংয়ের দক্ষিণ মেদেনীমণ্ডলের একটি টং দোকানে কথা হয় ৬৩ বছর বয়সী মো. আশরাফ মিয়ার সঙ্গে। তাঁর বাড়ি পদ্মা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় পাড় ভাঙনের আতঙ্কে ছিলেন দীর্ঘদিন। কিন্তু এখন তাঁর সেই শঙ্কা কেটেছে। কারণ, নদীশাসন সম্পন্ন হওয়ায় এখন আর ভাঙনের আশঙ্কা নেই বলে ধারণা তাঁর।
ভ্যানগাড়িতে করে বাদাম-ছোলা বিক্রি করেন মো. মফিজউদ্দিন। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় হলেও তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায়। প্রতিদিন ফেরিঘাটে বেচা-বিক্রির পাশাপাশি এখন তাঁর ব্যবসা বাড়িয়েছে পদ্মা সেতু দেখতে আসা নানা প্রান্তের মানুষ। তাঁর মতোই বিভিন্ন স্থানে হেঁটে জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন ফরিদপুরের মো. ইব্রাহিম। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে তিনি জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে প্রতিদিনই ছুটে আসেন সেতুর মাওয়া প্রান্তে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় এটিকে দেশের জন্য এক বিরাট অর্জন বলে মনে করেন এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
- বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে ৪৮ নম্বর পিলারের কাজ সম্পন্ন
- পদ্মাসেতু: বিজয়ের মাসেই সম্পন্ন হচ্ছে জয়েন্ট মুভমেন্টের ঢালাই কাজ
- পাথরবিহীন রেললাইন বসানো হচ্ছে
- এবারও ভালো করেছে মেয়েরা
- প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
- প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পদ্মা সেতু নিয়ে লিখবে শিক্ষার্থীরা
- মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন তারা!
- ১০ টাকায় এনআইডি সেবা পাবে সাধারণ মানুষ!
- বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে তুরস্ক-ফিলিপাইনসহ বিশ্বের ৬ দেশ
- সেনাপ্রধানের নির্দেশনা মেনে করোনা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেনাবাহিনী
- বাস্তবায়নের পথে ব-দ্বীপ স্বপ্ন
- ট্রেনে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে পৌঁছানো যাবে ঢাকা
- সচিবালয় এলাকায় উপসচিবকে জরিমানা
- ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের অগ্রগতি ৯৯ শতাংশ, উদ্বোধন মার্চে
- বিএনপি নেতা ফখরুলের ভিডিও বার্তা নিয়ে বিতর্ক তুমুলে
পানির নিচে পারমাণবিক হামলায় সক্ষম ড্রোন তৈরি করলো উত্তর কোরিয়ার
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নবনিযুক্ত সিআইসি আবদুল মালেকের শ্রদ্ধা