বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ:
‘গত বছরের জুন পর্যন্ত মেট্রোরেলে আয় ১৮,২৮,০৬,৫১৪ টাকা’ বিজিবিকে স্মার্ট প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে’ ‘রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল দেয়া হবে’ ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে নজরদারি রাখবেন জেলা প্রশাসকরা’ ‘স্বাস্থ্য খাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে’ ফসলি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ‘পাট খাতের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে’
৩৭৫

শেখ রেহানা : ঔদার্য যাকে মহিমান্বিত করেছে

ড. মিল্টন বিশ্বাস 

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

১৩ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার জন্মদিন। ১৯৫৫ সালের এই দিন তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালের ৩০ মে থেকে ১৯৫৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন। আবার তিনি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন ১৯৫৮ সালের ১২ অক্টোবর। অর্থাৎ শেখ রেহানার জন্ম থেকে বেশ কয়েক বছর বঙ্গবন্ধুর মুক্তজীবনে বিচরণের সুযোগ ঘটেছিল। যদিও তখন তিনি রাজনৈতিক কাজে পুরোমাত্রায় নিমজ্জিত। ১৯৫৫ সালের ৫ জুন তিনি গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানের জনসভা থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবি করা হয়। ২৩ জুন আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা না হলে দলীয় সদস্যরা আইনসভা থেকে পদত্যাগ করবেন। ২৫ আগস্ট পশ্চিম পাকিস্তানে এক ইউনিট প্রতিষ্ঠাবিষয়ক বিল সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি পাকিস্তান গণপরিষদে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দেন। 'পূর্ববাংলা' নামটি বিসর্জন দিয়ে 'পূর্ব পাকিস্তান' নামকরণে তিনি জোর আপত্তি করেন। একই সঙ্গে বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা, যুক্ত নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন এবং প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ২১ অক্টোবর আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ মুজিব দলের নাম থেকে 'মুসলিম' শব্দটি প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করলে আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি আবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দেখা যাচ্ছে, ১৩ সেপ্টেম্বর শেখ রেহানার জন্ম হলেও শিশুকন্যাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু ব্যস্ত নন। তিনি তখন দলের কাজে নিবেদিতপ্রাণ নেতা। তবে বড় মেয়ের মতোই ছোট মেয়ের প্রতি ছিল তার অপত্য স্নেহ ও মমত্ববোধ। তার প্রকাশ রয়েছে 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' ও 'কারাগারের রোজনামচা'য়। যেমন- একটি অংশ, 'ছোট মেয়েটার (শেখ রেহানা) শুধু একটা আবদার। সে আমার কাছে থাকবে। আর কেমন করে কোথায় থাকি তা দেখবে। সে বলে, থেকে যেতে রাজি আছি।' (১৫ জুন ১৯৬৬, বুধবার, কারাগারের রোজনামচা)

১৯৭৫ সালে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের হারানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বাল্যকাল থেকেই পিতার রাজনৈতিক আদর্শে বেড়ে উঠেছেন। এ জন্য তাদের ঔদার্য বিশাল। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক ঘটনা দিয়ে সেই উদার-হৃদয়ের মানুষকে আমরা চিনতে পারি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ব্রিটিশ সরকার তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেন। সেখানেই আজ পর্যন্ত অবস্থান করছেন তিনি। তবে প্রতি বছর বাংলাদেশে কিছুদিনের জন্য অবস্থান করেন। ২০০৭-২০০৮ সালে সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনাকে বন্দি করা হলে শেখ রেহানা তার পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হাল ধরেন। নেত্রীর মুক্তির জন্য দেশ-বিদেশে আইনি লড়াই চালিয়ে যান। ২০০৯ সাল থেকে বড় বোনকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে সহযোগিতা করে আসছেন। তিন সন্তানের জননী শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছেন। আর দুই কন্যা- টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকও উচ্চ শিক্ষিত। টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ লেবার পার্টির নেতা হিসেবে ব্রিটেনের সর্বশেষ নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো এমপি হন। ২০২০ সালে তিনি ব্রিটেনের শিশুবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি এতদিন শ্যাডো আর্লি ইয়ারস মিনিস্টার (প্রাক-প্রাথমিক ছায়ামন্ত্রী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর প্রতিকূল পরিস্থিতি জয় করে শেখ রেহানা নিজের সন্তানদের সুশিক্ষিত ও রাজনীতি সচেতন করে তুলেছেন।

২.

বিরূপ বিশ্বের মধ্যে বসবাস করেও শেখ রেহানা ঔদার্য দেখিয়েছেন জীবনের নানান ক্ষেত্রে। মহাজোট সরকারের সময় তার নামে বরাদ্দকৃত বাড়িটি সরকারি কাজে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার ঘটনাটি অধিকাংশ মানুষের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে ২০০১ সালে ১১ জুলাই মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধানমন্ডিতে এক বিঘা জমির পস্নটে একতলা একটি বাড়ির মালিকানা পান শেখ রেহানা। তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বিক্রয় দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হয় এবং বাড়িটি তার নামে নামজারিও হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে সেই বরাদ্দ না মেনে বাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে দিয়ে দেয়। তবে শেখ রেহানার পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করায় মামলাধীন বাড়িটির বরাদ্দপত্র বাতিল করতে ব্যর্থ হয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সূত্রে পাওয়া বাড়িটি নিজের দখলে আনার চেষ্টা না করে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন শেখ রেহানা। নামমাত্র ১০০১ টাকা মূল্যে সরকারের কাছে বাড়িটি দলিল করে দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সন্তান হিসেবে তার পক্ষেই ঘটানো সম্ভব। কারণ শেখ মুজিবুর রহমানও বাল্যকাল থেকে পরের দুঃখ-কষ্টকে উপলব্ধি করতে শিখেছিলেন আর নিজে ধনপতি না হয়ে সাধারণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত ছিলেন।

২০০১-০৬ পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে জোট সরকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনেককেই পস্নট বা বাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু কেড়ে নিয়েছিল এ দেশের গর্বিত সন্তান শেখ রেহানার বাড়িটি। মনে রাখা দরকার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর ধানমন্ডির পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ঐতিহাসিক বাড়িটি বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই কন্যা নিজেরা ভোগদখল না করে 'স্মৃতি জাদুঘর' করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। অথচ জাতির পিতার কন্যাদ্বয়ের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা রাষ্ট্রেরই করা উচিত। আমরা দেখলাম বিপরীত চিত্র শেখ রেহানার বাড়িটি দখলের জন্য জোট সরকার ২০০৫ সালে থানা হিসেবে উদ্বোধন করে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উপস্থিত হয়েছিলেন সেখানে। বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি বিদ্বেষের কারণ কি? পক্ষান্তরে শেখ রেহানা নিজের বাড়িটি স্বেচ্ছায় জনস্বার্থে পুলিশকে দিয়ে দিয়েছেন। এটা বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঔদার্যের প্রকাশ। ব্যক্তিগত ভোগদখলের চিন্তা ত্যাগ করার এই মানসিকতা সত্যিই অভিনন্দনযোগ্য। এ জন্যই শেখ রেহানা বলেছেন- 'এক সরকার দেবে, আরেক সরকার নেবে, এই ঝামেলায় তার দরকার নেই।'

শেখ হাসিনা ভাইবোনদের মধ্যে সবার বড়। তার তিন ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে নৃশংসভাবে নিহত হন। একমাত্র বোন শেখ রেহানা তখন তার সঙ্গে জার্মানিতে। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হন এবং ১৭ মে ৬ বছর নির্বাসন শেষে দেশে ফেরেন তিনি। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পরে তাদেরও বন্দি করে রেখেছিল পাকিস্তানি আর্মি। বন্দি মুহূর্তগুলো ছিল উৎকণ্ঠায় ভরা। পিতা জীবিত আছেন জানতে পারেন স্বাধীন দেশে ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু প্রথমে পরিবার নয় গিয়েছেন জনতার কাছে। বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্তে তার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন পরিবারটির প্রেরণা। মার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল দেশ স্বাধীন হবে। মায়ের কাছ থেকে শিখেছেন অনেক কিছু। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু মনে করতেন বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড এবং সাউথ এশিয়ার শক্তিশালী দেশ। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে এ দেশ। বঙ্গবন্ধুর এই ভাবনাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবনাও। বাংলাদেশের মানুষের কথা চিন্তা করে শেখ হাসিনা কষ্ট পান; তেমনি রেহানাও। যে মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবন কষ্ট করলেন, সেই মানুষের জন্যই নিজের জীবনটাই দিয়ে গেলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো ১৯৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এ দেশের মানুষ যে কষ্ট সেই কষ্টই পাচ্ছে। বর্তমানে তিনি চেষ্টা করেছেন মানুষের অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হবে, মানুষের জন্য কিছু করতে হবে- এ ভাবনা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ সব আওয়ামী লীগ বিশ্বাসীর।

ব্যক্তিগতভাবে শেখ হাসিনার মতো শেখ রেহানারও টুঙ্গিপাড়ার প্রতি রয়েছে গভীর টান। হিজলের স্মৃতি তাকে ডাক দিয়ে যায়; জলে ঢাকা সবুজ ক্ষেত তাকে আহ্বান জানায়। মহান পিতার কবর স্নিগ্ধ সান্নিধ্য প্রদান করে। ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদেশে চলে গিয়েছিলেন বলেই প্রাণে রক্ষা পান তিনি। কলেজ পড়ুয়া রেহানার লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছিল দেশে। কারণ তাদের ছোট বাড়িতে অনেক মানুষ; আর রাজনৈতিক পরিবারে বিচিত্র মানুষের আনাগোনা বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। এ জন্য বড় বোনের সন্তানদের দেখাশোনা ও নিজের পড়ার কাজের সুবিধার জন্য মাতৃনির্দেশ পালন করে বিদেশ পাড়ি দেন তিনি। রাষ্ট্রপতি হয়েও বঙ্গবন্ধু একটি ছোট বাড়িতে থাকতেন। কারণ বেগম মুজিবের বিশ্বাস ছিল বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তার সন্তানরা নষ্ট হয়ে যাবে। এ জন্য কখনো রাষ্ট্রপতি ভবনে বসবাসের উদ্দেশ্যে যাননি বরং সাদামাটা জীবনযাপন করেছেন। দেশে ফিরতে না পেরে ১৯৭৬ সালে রেহানা লন্ডনে পৌঁছান। বিয়ে করেন পিতার পছন্দের পাত্রকেই। ১৯৭৭ সালে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তিনি প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দেন সুইডেনে একটি কনফারেন্সে। ১৯৮০ সালে শেখ হাসিনা লন্ডনে বক্তব্য রাখেন। এ সময় দুই বোন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা নিয়ে সোচ্চার হন। ১৯৮১ সাল থেকে শেখ হাসিনা পার্টির জন্য নিরলস কাজ করেছেন; নেতৃত্ব দিয়েছেন; সততার পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন। আর প্রেরণা জুগিয়েছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। লন্ডন প্রবাসী শেখ রেহানা বাংলাদেশের স্থপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বোন, তারপরও তাকে চাকরি করে চলতে হয়। একটা গাড়ি নেই, তার বিরুদ্ধেও মামলা করে জোট সরকার এবং পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অথচ তারা কোনো দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। যাদের গায়ে কালি নেই তাদের কালি দিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা। সৎ ও যোগ্য হয়েও শেখ রেহানা হয়রানির শিকার হয়েছেন বহুবার।

৩.

লেখাবাহুল্য, এ দেশে মানুষের ভালোবাসা ছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবার কিছুই পায়নি। উপরন্তু শেখ রেহানা রাষ্ট্রের কাছে থেকে কিছুই নেননি। রাষ্ট্রপতি পরিবার হিসেবে তো রাষ্ট্রের কাছ থেকে সবাই পায় শুধু তারাই কিছু নেননি। কারণ তার ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ নেই; ছিল না কখনো। এ জন্য জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেছেন; জনগণের দিকে তাকিয়েছেন; জনগণের জন্য কিছু করেছেন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রীয় সম্পদে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা কর্তব্য মনে করে নিজের বরাদ্দকৃত বাড়িটি পুলিশকে দিয়ে দিয়েছেন। কেবল নিজের বাড়ি দেওয়া নয় এ দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে সবসময়, প্রতিটি দুর্যোগে। শেখ রেহানার মহানুভবতার তুলনা নেই। মানব দরদি ও মহৎ বলেই নতুন প্রজন্মের আদর্শ তিনি।

ড. মিল্টন বিশ্বাস : কবি, কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এবং অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
 

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
  • ‘জলাবদ্ধতা দূর করতে বারইপাড়া খাল খনন শেষ করতে হবে’

  • ‘বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট শিগগির গিনেস বুকে উঠবে’

  • ‘যারা মুক্তিযুদ্ধ মানেনা তারা স্বাধীন দেশকেও মানে না’

  • সশস্ত্র অবৈধ কোনো সংগঠন থাকবে না : র‌্যাব মহাপরিচালক

  • কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি : স্পিকার 

  • ডেঙ্গু প্রতিরোধের কর্মসূচি নিয়ে ২২ এপ্রিল মাঠে নামছে ডিএনসিসি

  • আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য শক্তি সংস্থার অধিবেশনে সংসদীয় প্রতিনিধিদল

  • তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলার ভোটগ্রহণ ২৯ মে

  • ‘বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে’

  • মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর

  • মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ

  • বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই

  • ভারত প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন পঞ্চাশ বিচারক

  • অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

  • বিমানের জরুরি অবতরণ; বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী

  • মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

  • ঝালকাঠিতে মাইক্রোবাস-অটোরিকশা নিয়ে খাদে ট্রাক, নিহত ১১

  • ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল

  • ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেবে ইসরাইল, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

  • মধ্যপ্রাচ্যে হামলা ঠেকাতে কত ডলার গেল যুক্তরাষ্ট্রের

  • ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ

  • যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় মুক্তি পাচ্ছে ‘রাজকুমার’

  • যৌনকর্মীদের নিয়ে ‘নীলপদ্ম’, প্রিমিয়ার হচ্ছে নিউইয়র্কে

  • ফিটনেস নবায়নে ৭ ধরনের গাড়িতে দিতে হবে না অগ্রিম কর

  • বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ৯

  • ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ৩২ দেশকে ইসরায়েলের চিঠি

  • ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দর ইতিহাসের সর্বনিম্ন

  • নেতানিয়াহু এ যুগের হিটলার: কাদের

  • পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ১২ সদস্য

  • নিউইয়র্কে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

  • ঈদুল ফিতরের নামাজে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া

  • ৬ দিন পর হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

  • সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন : প্রধানমন্ত্রী

  • ইসরায়েলের হামলায় হামাস প্রধানের তিন ছেলে নিহত

  • ঈদের জামাত ঘিরে নিরাপত্তা হুমকি নেই : র‌্যাব ডিজি

  • বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ৯

  • জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি

  • পদ্মা সেতুতে একদিনে প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড 

  • ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী

  • ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানী

  • আ.লীগের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ওবায়দুল কাদেরের

  • দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

  • জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিকদের উদ্ধারে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • এক হ্যাটট্রিকে র‍্যাংকিংয়ে ৪৮ ধাপ এগোলেন বাংলাদেশি পেসার

  • সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঢাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত

  • এবারের ঈদযাত্রাকে স্বস্তিদায়ক বললেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান

  • ঈদের পর ট্রেনের চাকা ঘুরতে পারে খুলনা-মোংলা রেললাইনে

  • চাঁদপুরে অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন

  • ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হচ্ছে এনবিএল

  • গিনেজ বুকে নাম লেখাতে মিঠামইনে শুরু ‘আল্পনায় বৈশাখ-১৪৩১’

  • ঢাকার সড়ক প্রায় ফাঁকা, গণপরিবহন কম

  • রাশিয়াতে তৈরি পোশাক-পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে চায় সরকার

  • জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন রাষ্ট্রপতি

  • বৈশাখে জড়িয়ে আমাদের আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা : রাষ্ট্রপতি

  • দুই মাস পর মধ্যপাড়া খনি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু

  • কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

  • ঢাকায় পাহাড়ি ঐতিহ্যের ‘বৈসাবি উৎসব’ পালিত

  • আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি : প্রধানমন্ত্রী

  • ‘জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে নতুন বছর’